নয়া দিল্লীঃ কেরলের (Kerala) রাজধানী তিরুবনন্তপুরমের আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে রবিবার আধিকারিকরা এয়ার কার্গো থেকে আসা মালপত্রের মধ্যে ৩০ কেজির বেশি সোনা উদ্ধার করেছে। শোনা যাচ্ছে যে, এর সুত্র আরবের মহাবাণিজ্য দূতাবাসের এক কূটনীতিবীদের সাথে যুক্ত। আর এবার এই মামলায় কেরলের মুখ্যমন্ত্রী কার্যালয়ের নামও সামনে আসছে।
UAE এর প্রাক্তন বাণিজ্য আধিকারিক স্বপ্না সুরেশ (swapna suresh) এই মামলায় প্রধান অভিযুক্ত। আপাতত তিনি কেরলের তথ্য প্রযুক্তি ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড এর অন্তর্গত স্পেস পার্কের বিপণন যোগাযোগ কর্মকর্তা। এই মামলা সামনে আসার পর বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুরেন্দ্রন মুখ্যমন্ত্রী কার্যালয়ের বিরুদ্ধে মোর্চা খুলে বসেছেন। উনি তৎক্ষণাৎ প্রেস কনফারেন্সের আয়োজন করে অভিযোগ করে বলেন, যখনই স্বপ্না সুরেশ এই মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার খবর মেলে, তখনই মুখ্যমন্ত্রী কার্যালয় আর আইটি সচিব স্বপ্নাকে মুক্ত করার জন্য সীমা শুল্ক বিভাগের উপর চাপ সৃষ্টি করে।
A report in Manorama on Kerala Gold Smuggling case including her links to key official of Chief Minister office Report is brimming with so salacious insinuations. https://t.co/Uf3SqDbqA1
— Prasanna Viswanathan (@prasannavishy) July 7, 2020
সুরেন্দ্রন বলেন, মুখ্যমন্ত্রী আর আইটি সচিব কার্যালয়ের ফোন রেকর্ডের তদন্ত করলেই গোটা ঘটনা পরিস্কার হয়ে যাবে। আর এর মধ্যে সীমা শুল্ক বিভাগ জানায় যে, স্বপ্না প্রভু পলাতক, তবে একজন প্রাক্তন বাণিজ্য দূতাবাসের পিআর সারথকে এই বিষয়ে জেরা করার জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে। অপরাধ কবুল করলে তাঁকে সীমা শুল্ক কার্যালয় কোচিতে নিয়ে যাওয়া হবে। আশঙ্কা করা হচ্ছে যে, সারথকে কার্যালয় থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে, কিন্তু সে স্বপ্না সমেত বাণিজ্য দূতাবাসের কয়েকজন আধিকারিকের সাথে যোগাযোগে ছিল। যেহেতু সে জানে যে, কূটনীতিবীদদের মালপত্রের তদন্ত করা হয় না, সেই জন্য সারথ এর সুযোগ নিয়ে বড় পরিমাণে সোনার চোরাচালান করে।
Connect the dots and it leads you to the @vijayanpinarayi's office. Swapna Suresh has powerful patrons. A crime of this nature cannot be executed without the support of higher ups. pic.twitter.com/wOSHjLTIMA
— K Surendran (@surendranbjp) July 6, 2020
স্বপ্না বাণিজ্য দূতাবাসে নিজের কার্যকাল পর্যন্ত সারথের সাহায্য কোর্ট। যদিও, তাঁর কার্যকাল শেষ হওয়ার পর চোরাচালানের জন্য সারথের সাথে সাহায্য করে যেত। সে এই অপরাধ থেকে নিজেকে বাঁচানোর জন্য কানেকশনেরও ব্যবহার করে। আরেকদিকে, ইউএই এর বাণিজ্য দূতাবাস এটা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে, চোরাচালানে তাদের কোন ভূমিকা নেই। আর তাদের কর্মচারীরাও এরকম কাজে যুক্ত না।