ভারতে বসবাসকারী আফগানরা দিল্লিতে রাষ্ট্রসংঘের অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছে। সোমবার প্রায় শতাধিক আফগান হাতে প্লাকার্ড নিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দিল্লীতে রাষ্ট্রসংঘের অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছে। এদের মধ্যে অনেকেই ভারতে বসবাস করছে ৯ বছর বা কেউ কেউ এসেছে মাত্র ৩ মাস হলো। কারোর ক্ষেত্রে ভারতে আসা হয়েছে ২০ দিন। কারোর কাছে নেই লং টার্ম ভিসা। প্রত্যেকের ছমাস অন্তর ভিসার মেয়াদ বাড়িয়ে ভারতে বাস করে আফগান শরণার্থীরা।
তাদের মূল দাবি,
১. যেসব আফগানি বহুদিন ধরে ভারতে রয়েছে তাদের যথাযথ শরনার্থী কার্ড বা পরিচয়পত্র দিতে হবে।
২. তৃতীয় একটি দেশে পুনর্বাসনের বিকল্প ব্যবস্থা করতে হবে।
৩. তাদের যথাযথ পরিচয়পত্র না থাকায় সিমকার্ড ব্যবহার করতে পারছে না এবং আফগানিস্তানে বসবাসকারী আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়ে উঠছে না।
৪. এই সমস্যার কারণে তারা কোনো বাড়ি ভাড়া পাচ্ছে না এবং স্থায়ী চাকরিও পাচ্ছে না।
৫. বাঁচল স্কুল কলেজে ভর্তি করতে পারছে না। মাঝপথে পড়াশোনা থেমে যাচ্ছে।
এই বিরোধ প্রদর্শন দেখার পর নেটিজেনদের একাংশ নিজের নিজের মত প্রকাশ করেছেন। রাহুল নামের এক ইউজার লিখেছেন, “ঈশ্বর এদেরকে একটু বুদ্ধি দিক, যে দেশ এদের রক্ষা করছে সেই দেশেই বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে।” অন্য এক ইউজার লিখেছেন, “ভারত কোনো ধৰ্মশালা নয়, যা দাবি আছে ৫৭ টি দেশ আছে তাদের কাছে করো।” জানিয়ে দি, এখানে ৫৭ টি দেশ বলতে ইসলামিক দেশগুলোকে বোঝানো হয়েছে।
ভারত সরকার ও রাষ্ট্র সংঘের কাছে বিক্ষোভরত আফগানদের আর্জি, যদি তারা ভারতে শরনার্থী পরিচয় না পায়, তাহলে তাদের যেন পরিবার-পরিজন সহ যারা কানাডা বা অষ্ট্রেলিয়া যেতে রাজি সেখানে সুরক্ষিত ভাবে পৌঁছে দেওয়া হয়। কারণ এই মুহুর্তে আফগানিস্তান তালিবানদের দখলে তাই সেখানে ফিরে যাওয়া সম্ভব নয়।
Afghan refugees protest in front of the office of the United Nations High Commissioner for Refugees in Delhi
Their demands include refugee status/cards for all Afghans, resettlement option to a third country, and security from UNHCR and the Indian government pic.twitter.com/FUVV5M21ve
— ANI (@ANI) August 23, 2021
এ বিষয়ে ভারতে বসবাসকারী আফগান সম্প্রদায়ের প্রধান আহমদ জিয়া গনি বলেছেন, ২১ হাজারেরও বেশি আফগান শরনার্থী এখন ভারতে রয়েছে। তাই ভারত সরকারের কাছে আবেদন, ভারত সরকার এ বিষয়ে নিজেদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পাশাপাশি রাষ্ট্রসংঘের সঙ্গে কথা বলুক।