তালিবানকে অভিনন্দন জানাল আল-কায়দা, বললো- এবার টার্গেট কাশ্মীর
আল কায়দার সঙ্গে দোহা শান্তিচুক্তির মাধ্যমে সম্পর্ক ছিন্ন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তালিবান। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি যে আদতে আমেরিকাকে বোকা বানানোর পরিকল্পনা তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল আফগানিস্তান দখলের পর তালিবানকে অভিনন্দন জানানোর মধ্য দিয়ে। তালিবানদের দখলের পর এই জেহাদি সংগঠন আল কায়দা আফগানিস্তানকে অভিনন্দন জানিয়েছে। শুধুমাত্র সেটাই নয়, এখন ‘ইসলামের শত্রু’দের হাত থেকে কাশ্মীরকে মুক্ত করার জন্য তালিবানকে এগিয়ে এসে সাহায্যের আহ্বান জানিয়েছে জেহাদি সংগঠনটি।
তালিবানকে অভিনন্দন জানিয়ে বিবৃতি জারি করেছে আল কায়দা। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হে আল্লা, লেভান্ত, সোমালিয়া, ইয়েমেন, কাশ্মীর ও সমস্ত মুসলিম স্থানগুলি ইসলামের শত্রুদের হাত থেকে মুক্ত করবো খুব তাড়াতাড়ি। বিশ্বজুড়ে সমস্ত মুসলিম বন্দিদের মুক্তি করে দাও। আল কায়দার বিবৃতি সামনে আসতেই জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী হামলার আশঙ্কা আরও বাড়বে বলেই ধারণা প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের। সেইসঙ্গে, টুইন টাওয়ার হামলায় দোষী আল কায়দা যে ফের আফগানিস্তানে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বৃদ্ধি করবে তা স্পষ্ট।
উল্লেখ্য, আফগানিস্তানের পরিবর্তনে উদ্বিগ্ন সমগ্র বিশ্ব। তালিবানের হাত ধরে কাবুলের পতনের পর থেকেই ‘গ্লোবাল জেহাদ’ বা বিশ্বজুড়ে ইসলামিক উগ্রপন্থা ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ খুব তাড়াতাড়ি হবে বলে মত বিশ্লেষকদের। আর ‘খিলাফত’ গড়ার লড়াইয়ে যে জেহাদিদের প্রথম লক্ষ্য যে জম্মু ও কাশ্মীর তা বলাই বাহুল্য। এরকম পরিস্থিতিতে আল কায়দার বক্তব্য ভারতকে চিন্তায় ফেলেছে। বেশ কয়েকদিন আগে কাশ্মীর উপত্যকায় লড়াই চালাতে তালিবানের সাহায্য চেয়েছিল পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিন।সবমিলিয়ে, ইঙ্গিত সুস্পষ্ট যে আবারও আল কায়দা, জইশ ও হাক্কানি নেটওয়ার্কের মতো জেহাদি সংগঠনগুলির রাজত্বে পরিণত হতে চলেছে আফগানিস্তান।