নয়া দিল্লীঃ বাটলা এনকাউন্টার কেসে আরিজ খানকে ফাঁসির সাজা শোনানো হয়েছে। আদালত এই মামলাটিকে রেয়ারেস্ট অফ রেয়ার কেস বলেছে। আরিজ খানকে গত ৮ মার্চ দোষী সাব্যস্ত করেছিল আদালত। এই মামলায় ২০১৩ সালে আরও একজন দোষী শাহজাদ আহমেদকে সাজা শোনানো হয়েছিল। আর এদের আরও দুই সঙ্গী আতিক আমিন এবং মহম্মদ সাজিদ এনকাউন্টারে নিকেশ হয়েছিল।
দিল্লীর সাকেত কোর্ট ইন্ডিয়ান মুজাহিদ্দিনের জন্য আরিজ খানকে দোষী সাব্যস্ত করে ১৫ মার্চ সাজা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল। আরিজ খানকে আইপিসি ধারা ৩০২, ৩০৭ আর আর্মস অ্যাক্টে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল।
বলে দিই, ২০০৮ সালে দিল্লীর বাটলা হাউস এনকাউন্টার কেসের পর আরিজ খান পালিয়ে গিয়েছিল। ২০১৮ সালে তাঁকে নেপাল থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এই এনকাউন্টারে ইনস্পেকটর মোহন চাঁদ শর্মার প্রাণ গিয়েছিল, আর বলবন্ত সিং রাজবীর নামের এক পুলিশ কর্মীকে প্রাণে মারার চেষ্টা করা হয়েছিল।
২০০৮ সালে দিল্লী-জয়পুর-আহমেদাবাদ আর উত্তর প্রদেশে বেশ কয়েকটি বোমা ধামাকার মুখ্য দোষী ইন্ডিয়ান মুজাহিদ্দিনের জঙ্গি আরিজ খান। এই ধামাকায় মোট ১৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আর ৫৩৫ জন আহত হয়েছিলেন।
এই ধামাকার পর আরিজ খানের উপর ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঘোষণা হয়েছি। আর তাঁর বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড কর্নার নোটিশও জারি করা হয়েছিল। আজমগড়ের বাসিন্দা জুনেইদ ওরফে আরিজ খানকে ২০১৮ সালে স্পেশ্যাল টিম নেপাল থেকে গ্রেফতার করেছিল।
বলে রাখি, বাটলা হাউস এনকাউন্টার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল তামাম বিরোধী দলগুলো। কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী এই এনকাউন্টার নিয়ে চোখের জলও ফেলেছিলেন। এবং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, এই এনকাউন্টার ভুয়ো। এই এনকাউন্টার সত্য প্রমাণিত হলে তিনি রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নেবেন।
বিজেপির তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল যে, শুধুমাত্র ভোট ব্যাঙ্ক পলিটিক্সের জন্য জঙ্গিদের পাশে দাঁড়াচ্ছে বিরোধীরা। আরিজ খান দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, তখন বলেছিলেন সন্ন্যাস নেবেন, তাহলে এখন কি করবেন?