পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) নির্বাচন হবে আর হিংসা হবে না এটা কখনোই সম্ভব নয়। নির্বাচনের কিছুদিন আগে, নির্বাচনের দিন ও ফলাফল বেরোনোর পর লুঙ্গি বাহিনীর উপদ্রব অব্যাহত থাকা স্বাভাবিক বিষয়। পশ্চিমবঙের তিনটি বিধানসভায় উপনির্বাচনের ফলাফল সামনে আসতেই লুঙ্গি বাহিনীর উপদ্রব শুরু হয়ে গেছে বলে খবর সামনে এসেছে। প্রাপ্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, ফলাফলের আসার পরেই টিএমসি গুন্ডারা বিজেপি জেলা সভাপতি ফাল্গুনি পাত্রের বাড়িতে হামলা চালায়। এতে তার বাড়ি ও গাড়ি উভয়ই প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এই হামলার ঘটনার জন্য ফাল্গুনি ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসকে দোষ দিয়েছেন।
তবে আক্রমন লুঙ্গি বাহিনী করেছে নাকি তৃণমূলের সাধারণ গুন্ডারা করেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। পাত্র ব্যারাকপুর এলাকার বাসিন্দা, সংবাদ সংস্থা এএনআই ফাল্গুনির বক্তব্য উদ্ধৃত করে বলেছে যে এই হামলায় ফালগুনির বাড়ি ও গাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে কয়েকটি ছবিও শেয়ার করা হয়েছে। জানিয়ে দি ২৫ নভেম্বর পশ্চিমবঙ্গের করিমপুর অঞ্চলে উপনির্বাচনের সময় বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদারও একই পরিবেশের মুখোমুখি হয়েছিলেন। উনাকে মারধর করে ইসলামপুর স্কুল বুথের বাইরে ফেলে দেওয়া হয়। এক্ষেত্রেও ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল।
অবশ্য জয়প্রকাশ মজুমদারের উপর আক্রমনে সরাসরিভাবে লুঙ্গিবাহিনী জড়িত ছিল। লুঙ্গীবাহিনীর এক দাপুটে গুন্ডা জয়প্রকাশ মজুমদারকে লাথি মেরে ঝোঁপের মধ্যে ফেলে দিয়েছিল। সেক্ষেত্রে ভিডিও প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও ওই গুন্ডা আদালতে জামিন পেতে সক্ষম হয়েছে। প্রসঙ্গত জানিয়ে দি, যে তিনটি বিধানসভায় উপনির্বাচন ছিল সেই তিনটিতেই বিজেপি হারের সম্মুখীন হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপি সমর্থকরা হারের কারণ খুঁজতে চিনন্ত শুরু করেছে।
অনেকে যোগ্য নেতৃত্বের অভাবকে দায়ী করেছে, অনেকে আবার NRC নিয়ে মানুষের কাছে ভ্রান্তি তথ্য যাওয়াকে দায়ী করেছে। কিছুজনের দাবি বঙ্গবিজেপির মধ্যে লবিবাজি শুরু হওয়ায় এমন অবস্থা হয়েছে। তবে বিজেপি সমর্থকরা চিন্তন, মন্থন নিয়ে ব্যাস্ত থাকলেও লুঙ্গি বাহিনী তাদের কাজ শুরু করে দিয়ে আতঙ্ক ছড়াতে নেমে পড়েছে।