হায়দ্রাবাদ হত্যাকান্ড নিয়ে দেশের মানুষের আক্রোশ কমেনি। মূল্য অভিযুক্ত মহম্মদ আরিফ পাশা সহ তিনজনকে ফাঁসি দেওয়ার দাবি উঠেছে। এই জঘন্য ঘটনায় মহম্মদ পাশা ছিল মাস্টার মাইন্ড ও সাবালক, বাকিরা নাবালক। মহম্মদ পাশার নাম সার্বজনিক করা হয়েছে বাকি তিন জন নাবালক হওয়ায় নাম সাবর্জনিক করা হয়নি। যদিও তিনটি কাল্পনিক নাম পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে। তবে এই ঘটনার রেশ কাটাতে না কাটতে আরো এক কুখ্যাত ধর্ষণকারী পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে। আজমগড় জেলার মোবারকপুর থানা এলাকার একটি গ্রামে ২৪ নভেম্বর রাতে হওয়া তিনটি হত্যার বিষয়ে পুলিশ রহস্য ভেদন করেছে। তিনটি হত্যার মূল অভিযুক্ত নাজিরউদ্দিনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। নাজিরুউদ্দিন তার দূর সম্পর্কের এক বোনকে ধর্ষণ করে হত্যা করেছে। পুলিশ জানিয়েছেন ঘটনার রাতের দিন নাজিরুউদ্দিন উত্তেজক ওষুধ সেবন করেছিল। রাত নয়টার দিকে সে মহিলার বাড়িতে পৌঁছে যায় ধর্ষণের তাগিদে। মহিলার বাড়িতে ঢুকে, তার স্বামীর মাথায় ইট মেরে হত্যা করে।
এর পরে, মহিলা এবং তার দশ বছর বয়সী মেয়েকে একটি ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে অজ্ঞান করে। অজ্ঞান অবস্থায় দূর সম্পর্কের বোন ও নিজের ভাগ্নীর সাথে দুষ্কর্ম করে নাজিরুউদ্দিন। দুষ্কর্ম করে ভিডিও তৈরি করে এই ব্যাক্তি। মহিলার এক ছেলে চিৎকার করায় তাকেও হত্যা করে নাজিরুউদ্দিন। ২৪ শে নভেম্বর হওয়া জঘন্য ঘটনা তার পরের দিন সকালে সাড়ে ১০ টা নাগাদ সকল লোকজন জানতে পারে। ঘটনা নিয়ে সন্দেহজনক ভাবে এক ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তবে তদন্ত হতেই বিষয়টির পর্দাফাঁস হয়। সন্দেহজনক হিসেবে গ্রেফতার হওয়া ব্যাক্তি নির্দোষ প্রমাণিত হয়।
খবর আসছিল যে নাজিরুউদ্দিন দিনের বেলায় বাড়ি থেকে বের হয় না। আর রাতের বেলা চুপিসারে কোথাও একটা যায়। পুলিশ নাজিরুউদ্দিনের উপর নজর রাখতে শুরু করে। দেখা যায় নাজিরুউদ্দিন রাতের বেলা কবরস্থানে যায় যেখানে মহিলা, তার স্বামী ও বাচ্চাকে কবর দেওয়া হয়েছিল। সেখানে গিয়ে নাজিরুউদ্দিন কান্নাকাটি করতো। এরপর পুলিশ নাজিরুউদ্দিন এর পরিচিত একটা মহিলাকে নিযুক্ত করে ঘটনা তদন্ত করার জন্য।
মহিলার নাজিরুউদ্দিন সাথে কথাবার্তা শুরু করে। ধীরে ধীরে নাজিরুউদ্দিন ঘটনা বিষয়ে বলতে শুরু করে। নাজিরুউদ্দিন দুষ্কর্ম করার ভিডিও পর্যন্ত দেখিয়ে দেয়। পুলিশ কিছুটা অপেক্ষা করেছিল এবং দশ বছরের কিশোরী হাসপাতালে ভর্তি এবং তার অবস্থার উন্নতির জন্য। রবিবার চিকিৎসকের কাছ থেকে গ্রিন সিগন্যাল পেয়ে নাজিরউদ্দিনকে চিহ্নিত করা হয়। এসময় মেয়েটি অভিযুক্তকে চিহ্নিত করে ধর্ষণের কথাও জানায়। অভিযুক্তকে চিহ্নিত করার পর পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। নাজিরউদ্দিন এখন সব অপরাধ স্বীকার করেছে।এসপি ত্রিবেণী সিং বলেছেন যে আমার কাজটিতে আজ অবধি এই ঘটনাটি চ্যালেঞ্জের মতো ছিল। অপরাধীকে কঠোর সাজা দেওয়া হবে।