নাগরিকতা সংশোধন আইন (CAA) এবং নাগরিকপঞ্জী (NRC) এর বিরোধিতায় আয়োজিত রাষ্ট্রীয় জনতা দল RJD) এর বিহার বন্ধের সময় শনিবার বিহারের অনেক জায়গায় হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। আর সবথেকে বড় ঘটনা ঘটে পাটনার ফুলবাড়িশরীফে, যেখানে দুই গোষ্ঠী একে অপরের উপর পাথর ছুঁড়ে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি করে। এই অশান্তিতে গুলিও চলে, আর গুলিতে ১১ জন আহত হন। আরেকজনকে ছুরি মেরে আহত করা হয়। এই ঘটনায় প্রায় ১০ জন পুলিশকর্মী আহত হন।
पटना में मंदिरों पर "शांतिपूर्ण हमला" https://t.co/OtugNCOCXF pic.twitter.com/pOerR16Cvl
— Mr Sinha (@MrSinha_) December 21, 2019
এর সাথে সাথে উপদ্রবিরা ফুলবাড়িশরীফের একটি মন্দিরে ভাঙচুর চালায় আর সেখানে আগুন লাগিয়ে দেয়। পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বন্ধের সমর্থনে বের হওয়া জুলুস একটি মন্দিরের পাস দিয়ে যায়, এই জুলুসে উপদ্রবি আর সমায বিরোধীরাও ছিল। জুলুস সঙ্গতপর মহল্লা দিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ তাঁদের আটকানোর চেষ্টা করে, এরপর জুলুসে থাকা উপদ্রবি আর সমাজ বিরোধীরা মন্দিরে হামলা শুরু করে দেয়, আর মন্দিরে আগুন লাগিয়ে দেয়। এই বিবাদ তখন আরও ভয়ঙ্কর হয়ে যায়, যখন হিন্দুরা তাঁদের মন্দির বাঁচানোর জন্য উপদ্রবিদের উপর হামলা করে।
আপনাদের জানিয়ে রাখি, শনিবার শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের নামে গোটা বিহারে তাণ্ডব চালিয়েছে লালু যাদবের দলের নেতারা। RJD নেতাদের উপদ্রব নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা ভিডিও বেশ ভাইরাল হয়েছে। যা CAA এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারীদী মুখোশ খুলে দিয়েছে। আসলো এক সাংবাদিক খবর পান যে RJD নেতারা গাড়ি ভাঙচুর করছে। তখন তিনি এই ব্যাপারে রাস্তায় লাঠি হাতে ঘুরে বেড়ানো RJD নেতাদের প্রশ্নঃ করেন। সাংবাদিক অভিযোগ তোলেন যে তারা রাস্তায় ভাঙচুর করছে। তখন উত্তরে RJD নেতা বলেন আমরা সব শান্তিপূর্ণভাবে করছি।
Live hypocrisy of RJD 🤣🤣 pic.twitter.com/ONwAsF4n6A
— Troll Indian Politics (@TIP_Pradhanjii) December 21, 2019
RJD নেতা বলেন, আমার সব জায়গায় শান্তি বজায় রেখেছি, আপনি দেখুন পুরো বাজারে কথাও অশান্তি নেই। সাংবাদিকনের সাথে কথা বলতে বলতে RJD নেতা দেখতে পান যে একটা অটো পেরিয়ে যাচ্ছে। তখন তিনি দৌড়ে গিয়ে আবার অটো ভাঙচুর করতে লাগিয়ে দেন। সাংবাদিক বলেন দেখুন এটাই হচ্ছে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ, গাড়ি ভাঙচুর করাকে এনারা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ মনে করেন।