নাগরিক সংশোধন আইন (Citizenship Amendment Act) এর বিরোধিতা নিয়ে বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্র (Sambit Patra) সোমবার একটি প্রেস কনফারেন্স করে বিরোধী দল গুলোকে হিংসার জন্য দায়ী করলেন। সম্বিত পাত্র বলেন, বিরোধীদের মধ্যে মুসলিম ভোট পাওয়ার জন্য লম্ফঝম্ফ লেগে আছে। দেশের হিন্দু মুসলিম ভোট কে ভাগ করার জন্য কিছু রাজনৈতিক দল উঠেপড়ে লেগে ষড়যন্ত্র করে চলেছে। সম্বিত পাত্র বলেন, ছাত্ররা শিক্ষিত, আর কিছু রাজনৈতিক দল তাঁদের সামনে রেখে নিজেদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ চমকাচ্ছে।
बीजेपी की प्रेस कॉन्फ्रेंस #LIVE,नागरिकता कानून पर बीजेपी का बयान-विपक्ष भ्रम फैला रहा है. pic.twitter.com/Y4RxoVr3E6
— News18 India (@News18India) December 16, 2019
সম্বিত পাত্র নাগরিকতা আইন নিয়ে দিল্লীতে শুরু হওয়া বিরোধ প্রদর্শন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। উনি বলেন, শনিবার একটি র্যালির মাধ্যমে রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) অ্যাক্টিভ হলেন, আর রবিবার গোটা দেশে হিংসা ছড়িয়ে পড়ল। সম্বিত পাত্র জওহর লাল বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বলেন, যখন JNU-তে দেশ বিরোধী স্লোগান দেওয়া হচ্ছিল, তখন রাহুল গান্ধী সমেত অনেক নেতা সেই দেশ বিরোধী স্লোগানকে সমর্থন করে মুসলিম ভোট কুড়াতে গেছিল।
সম্বিত পাত্র বলেন, আমরা গতকাল থেকে দিল্লীতে হিংসা দেখছি, আর আজ উত্তর প্রদেশেও হিংসা শুরু হয়েছে। নাগরিকতা সংশোধন আইনে কোন ধর্ম, জাতি আর নাগরিকদের সাথে বৈষম্য করার কথা উল্লেখ নেই। কারোর অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছেনা। কিন্তু কিছু রাজনৈতিক দল শিক্ষিত ছাত্রদের ব্রেন ওয়াশ করে বিরোধ প্রদর্শন করাচ্ছে।
উল্লেখ্য, শুধু দিল্লী আর উত্তর প্রদেশ না, জ্বলছে গোটা বাংলাও। আরেকদিকে বাংলা জুড়ে চলা এই অশান্তির মাঝে আজ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর নেতৃত্বে শাসক দল তৃণমূল একটি পদসভার আয়োজন করে। এই পদসভা নাগরিকতা সংশোধন আইনের বিরুদ্ধে করা হয়েছিল। আর সেখান থেকে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের অশান্তি থামানোর জায়গায় উলটে ঘোষণা করেন যে, যারা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছে, তাঁদের পাশে আছি আমরা।