নাগরিকত্ব আইনের (CAA) বিরোধিতায় এমনিতেই তিনদিন ধরে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে বাংলা। দূরপাল্লা সমেত বহু লোকাল ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়েছে এই হিংসাত্মক আন্দোলনের জেরে। কোথাও উপড়ে ফেলা হয়েছে লাইন, তো কোথাও বার লাইনের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছে স্টেশনের আসবাবপত্র। আরেকদিকে হাওড়া শাখায় অনেক স্টেশনের অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়ে গেছে। কারণ আন্দোলনের নামে তাণ্ডব আর লুঠপাট চালিয়েছে একদল মানুষ।
Anti-CAB protest turns violent in #Bengal. In Murshidabad stones pelted on an ambulance. Beldanga station vandalised by protesters. Muslim organisations had given protest call across the state after Friday prayers today pic.twitter.com/bdDyAIwEAc
— Indrojit | ইন্দ্রজিৎ (@iindrojit) December 13, 2019
ঠিক একই রকম চিত্র দেখা গেছিল এসএসকেএম কাণ্ডের সময়। রোগীর মৃত্যু নিয়ে হাসপাতাল চত্বরে ভাঙচুর চালিয়েছিল রোগির পরিজনেরা। আর তাঁরা একটি বিশেষ সম্প্রদায় ভুক্ত মানুষ হওয়ার সুবাদে প্রশাসন তাঁদের টিকিও ছুঁতে পারেনি। আরেকদিকে এই এসএসকেএম কাণ্ডের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী বলেছিলেন, যেই গরু দুধ দেয়, তাঁদের একটু লাঠি খাওয়া ভালো। আর সেই ট্র্যাডিশন বজায় রেখে এবারও মমতা ব্যানার্জী বিক্ষোভকারীদের কিছু না বলে, ট্রেন বন্ধের জন্য কেন্দ্রকে দুষলেন।
একদিকে রাজ্যে অশান্তি থামছে না। আরেকদিকে গতকাল মমতা ব্যানার্জীর নেতৃত্বে গোটা তৃণমূল দল রাস্তায় নেমে নাগরিকতা সংশোধন আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দেখায়। গতকালের এই প্রতিবাদ নিয়ে রাজ্যের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর মমতা ব্যানার্জীকে চরম হুঁশিয়ারিও দেন। আবার এই প্রতিবাদ সভা থেকেই মমতা ব্যানার্জী বিক্ষোভকারীদের উসকানি দিয়ে বলেন, যতদিন না এই আইন প্রত্যাহার হচ্ছে আপনারা আন্দোলন চালিয়ে যান।
.@MamataOfficial. I am extremely anguished that CM and Ministers are to spearhead rally against CAA, law of the land. This is unconstitutional. I call upon CM to desist from this unconstitutional and inflammatory act at this juncture and devote to retrieve the grim situation.
— Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) December 16, 2019
মমতা ব্যানার্জী বলেন, আমরা সকলেই নাগরিক, আমি হিংসা পছন্দ করি না। বিজেপি চায়, হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা হোক। কাউকে বাংলা ছাড়তে দেব না, বললেন মুখ্যমন্ত্রী যাঁরা আপনাদের সঙ্গে আছেন, তাঁদের সঙ্গে নিন, পরামর্শ মমতার। উনি আরও বলেন, কেন্দ্র বলেছিল বিএসএফ চাও, সিআরপিএফ চাও? আমি বলেছি, চাই না, আমাদের পুলিশই যথেষ্ট।