চিটফান্ড (Chit Funds) কাণ্ডে জর্জরিত মানুষের তালিকা কোনো ছোটো নয়। বহু মানুষ চিটফান্ড এর ধোকাবজির শিকার হয়েছেন। অনেকে তো প্রতারিত হয়ে আত্মহত্যা পর্যন্ত করে নিয়েছেন। এখন কেন্দ্র সরকার চিটফান্ডের উপর লাগাম লাগাতে বড়ো পদক্ষেপ নিয়েছে। চিটফান্ড নিয়ে নতুন সংশোধন বিল করার যে দাবি উঠেছিল, তা সরকার মেনে নিয়েছে। চিটফান্ডের এই ধোকাবাজি আটকানোর জন্য কেন্দ্র সরকার এবার নতুন সংশোধন বিল (Chit funds amendment bill) নিয়ে হাজির হয়েছে। সোমবার দিন সরকার লোকসভার চিটফান্ড বিল পেশ করেছিল যা পাশ হয়েগেছে। এবার এই বিল রাজ্যসভায় পাশ করানো হবে।
সম্প্রতি, বহু সংস্থা তথা কোম্পানিতে কেলেঙ্কারির ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে। এই সংস্থাগুলি চিট ফান্ডের আড়ালে কিছু ভুল কাজ করছিল বলে খবরও সামনে এসেছিল। তবে এখন সরকার ১৯৮২ সালের চিট ফান্ড বিলটি পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ সম্পর্কিত একটি বিল লোকসভায় উপস্থাপন করা হয়েছে। বিলটি পাস হওয়ার পরে চিট ফান্ড সংস্থাগুলির আরও ভালভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। কোম্পানিগুলির মধ্যে আরও স্বচ্ছতা হবে এবং চিট ফান্ডের নামে প্রতারণা করা কঠিন হবে।
নতুন চিটফান্ড সংশোধনী বিলে অনেক বিধান রাখা হয়েছে। খেয়াল রাখা হয়েছে যাতে সংস্থাগুলি স্বচ্ছতা বজায় রেখে আরও উন্নততরভাবে বিকাশ করতে পারে। এর জন্য প্রয়োজনীয় বিধানও করা হয়েছে, চিট ফান্ডে ব্যক্তি ও সংস্থাগুলির বিনিয়োগের সীমা বাড়ানো হয়েছে। চিট ফান্ডে ব্যক্তিগত বিনিয়োগের সীমা এক লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে তিন লাখ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। একই সাথে সংস্থাগুলির জন্য এই সীমা 6 লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে 18 লক্ষ রুপি করার প্রস্তাব করা হচ্ছে।
চিট ফান্ডে কোনও সংস্থা যে সিদ্ধান্তই নেয় না কেন, তার পক্ষে কমপক্ষে দু’জন গ্রাহক থাকা দরকার। এই বিষয়ে এই বিধান করা হয়েছে। এটি যাতে অপব্যবহার না হয় সেদিকেও বিধান রাখা হয়েছে। বিজেপি নেতা রাজীব প্রতাপ রুডি বলেছেন যে বহু শতাংশ মানুষ চিট ফান্ডে বিনিয়োগ করে এবং বিপুল সংখ্যক লোক তাদের মধ্যে অর্থ হারিয়ে ফেলে। এ জাতীয় পরিস্থিতিতে ব্যাংকিং ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আকর্ষণ বাড়াতে হবে, এ জাতীয় ব্যবস্থা ঠিক জায়গায় হওয়া উচিত।