লোকসভার পর এবার রাজ্যসভাতেও পাশ হলো CAB তথা নাগরিকত্ব সংশোধন বিল। সোমবার লোকসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস করার পর বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যসভায় এটি উপস্থাপন করেছিলেন। সংসদের রাস্তা থেকে বিক্ষোভের মধ্যে বুধবার রাজ্যসভায় বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে দুপুর বারোটায় আলোচনা শুরু হয়ে ছিল। লোকসভায় বিতর্কের পরে কিছু রাজনৈতিক দল তাদের অবস্থান বদলেছে, আবার কিছু বিজেপি-নন-কংগ্রেস দল বিলের সমর্থনে সামনে এসেছে।
এখন প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব সংশোধন বিল পাশ হয়েছে। বিলের পক্ষে ১২৫ এবং বিলের বিপক্ষে ৯২ টি ভোট পড়েছে। খবর সামনে আসার পর দিল্লীতে বসবাসকারী হিন্দু শরনার্থীরা আনন্দ উৎসবে মেতে উঠেছে। দিল্লিতে বাজি ফাটিয়ে শরণার্থীরা তাদের খুশি ব্যাক্ত করেছে। এই বিলের বিধানের ফলে লক্ষ লক্ষ মানুষ উপকৃত হবে। আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশে বসবাসকারী সংখ্যালঘুদের অধিকার সুরক্ষিত ছিল না, তারা সেখানে সমতার অধিকার পায়নি।
অমিত শাহ আগেই CAB ও NRC নিয়ে তার স্পষ্ট মন্তব্য করেছিলেন। অমিত শাহ বলেছিলেন CAB ও NRC নিশ্চিতভাবে বাস্তবে রূপান্তর করা হবে। রাজ্য সভায় CAB পাশের সাথে সাথে একটা বড়ো কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এখন NRC লাগু হওয়ার শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র বলে মনে করা হচ্ছে। বিরোধিতারা লাগাতার বিলের উপর অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। চলমান আলোচনার সময় কংগ্রেস সাংসদ কপিল সিবাল বলেছিলেন যে টু নেশন তত্ত্বটি সাভারকর দিয়েছিলেন। ভারতের বিশ্বাস ২ নেশন থিওরিতে নেই।
অন্য দিকে, অমিত শাহ রাজ্যসভায় বলেন, এই বিলটি মুসলমানদের বিরুদ্ধে নয়, কীভাবে পাকিস্তানি মুসলমানদের নাগরিকত্ব দেওয়া যায়। তিনি বলেন এই বিল অনুপ্রবেশ কমিয়ে দেবে। যারা বিলের আওতায় এসেছেন তাদের উপর অনুপ্রবেশকারী মামলাটি শেষ হবে। শরণার্থীরা অধিকার পাবেন। সংখ্যালঘুরা যারা ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে ভারতে এসেছিল তারা এখানে সুবিধা পায় নি। পাকিস্তানে ২০ শতাংশ সংখ্যালঘু ছিল, কিন্তু আজ মাত্র ৩ শতাংশ রয়ে গেছে। এই বিলের মাধ্যমে হিন্দু, জৈন, শিখ, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, পার্সি শরণার্থীরা সুবিধা পাবেন।