দেশের সুরক্ষা বিশেষজ্ঞরা আগেই সাবধান করেছেন যে রোহিঙ্গারা যদি দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে তাহলে সেটা বিপদজনক। তবে মানবাধিকারের দোহাই দিয়ে এক বিশেষ গ্যাং রোহিঙ্গাদের দেশের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে দিতে ব্যাপকভাবে কাজ করছে। শনিবার দিন উত্তরপ্রদেশের এটিএস ১১ জন রোহিঙ্গাকে অবৈধ কাগজপত্রের সাথে গ্রেফতার করেছে। এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনের আগে ওই রাজ্যের গ্রামে গ্রামে রোহিঙ্গাদের ছড়িয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে রাজধানী দিল্লী থেকে বড়ো খবর সামনে আসছে। জানিয়ে দি, রাজধানী শহরের বহু জায়গায় রোহিঙ্গাদের বড়ো বড়ো বস্তি রয়েছে। যেখানে রোহিঙ্গারা বিপজ্জনকভাবে জনসংখ্যা বিস্তার করছে। এরই মধ্যে এক বস্তিতে শনিবার আগুন লাগার খবর সামনে আসে। মদনপুর খাদরে থাকা রোহিঙ্গা বস্তিতে আগুন লাগার দরুন প্রায় ৫০ টি ঝুপড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
উল্লেখ্য, কালিন্দি কুঞ্জের পাশে মদনপুর খাদের কাছে রোহিঙ্গাদের সবথেকে বড়ো বস্তি রয়েছে। আর সেই বস্তিতেই আগুন লেগে যায়। আগুন এতটা ভয়াবহ ছিল যে কয়েক কিলোমিটার দূরে থেকে আগুনের ধোঁয়া লক্ষ করা গেছিল। রাত ১১ টেয় আগুন লক্ষ করা যায়।রাতেই তৎক্ষণাৎ বিশাল দলকল বাহিনী পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। আগুন লাগায় প্রায় ২৫০ জন রোহিঙ্গা বাড়ি হারিয়েছে বলে জানা গেছে।
রোহিঙ্গাদের বস্তিতে কি করে আগুন লাগল সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রোহিঙ্গা সমর্থকরা। তবে অনেকে এও প্রশ্ন তুলেছেন যে দেশের রাজধানী শহরে কেন রোহিঙ্গা বস্তি তৈরি করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, দিল্লীতে রোহিঙ্গা বস্তির বিতর্ক বহুবার চর্চায় আসে। তবে ভোট ব্যাঙ্কের চক্করে নেতারা এটা নিয়ে হাঙ্গামা করতে পিছিয়ে পড়েন।