নাগরিকত্ব সংশোধন আইন (CAA) এবং জাতীয় নাগরিকত্ব নিবন্ধকের (NRC) নিয়ে দেশে বিতর্ক থামার নাম নিচ্ছে না। বিশেষ করে দেশে রাজনীতিতে বিরোধী পক্ষে থাকা দলগুলি CAA ও NRC এর তীব্র বিরোধিতায় নেমে পড়েছে। CAA ও NRC এর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশবন্ত সিনহান গান্ধী শান্তি যাত্রা শুরু করেছেন। মুম্বইয়ের গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়া থেকে ৩০০০ কিলোমিটারের যাত্রা শুরু হয়েছে এবং এটি NCP প্রধান শরদ পওয়ারের পতাকা দ্বারা পতাকাঙ্কিত করেছিলেন। এই যাত্রাটি 30 জানুয়ারী রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা হয়ে দিল্লির রাজঘাটে শেষ হবে।
এ সময় যশবন্ত সিনহা বলেন যে আমাদের সফরটি NRC এবং CAA বিরোধী। দেশের রাজ্য সরকারগুলি এর বিরোধিতা করেছে। NCP নেতা ও যশবন্ত সিনহা মিলে সাংবাদিকদের কাছে গান্ধী শান্তি যাত্রার বিষয়ে কথা বলেন। তারা বলেন, আমরা এই যাত্রা পথে মানুষের সাথে কথা বলব। আম্বেদকরের দেওয়া ভারতের সংবিধান রক্ষা করবো, দেশকে আবার বিভক্ত হতে দেবে না এবং গান্ধীকে আবার হত্যা করতে দেওয়া যাবে না।
গান্ধী শান্তিযাত্রার সময় এই দুই নেতা সিএএ, এনআরসি এবং বিচারক লোয়ার সন্দেহজনক মৃত্যুর বিষয়টি উত্থাপন করবেন। এছাড়াও, কেন্দ্রীয় সরকারকে এনআরসি বাস্তবায়ন না করার দাবি জানাবে। সভায় এই সফরে এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার এবং তাঁর দলের বেশ কয়েকজন নেতা অংশ নিয়েছেন।
मुंबई: राष्ट्रवादी कांग्रेस पार्टी प्रमुख शरद पवार, पूर्व केंद्रीय मंत्री यशवंत सिन्हा, वंचित बहुजन आघाडी के प्रकाश अंबेडकर और अन्य नेता गेटवे ऑफ इंडिया पर नागरिकता संशोधन कानून और NRC के विरोध में 'गांधी शांति यात्रा' में शामिल हुए। pic.twitter.com/gIrF4gCkPL
— ANI_HindiNews (@AHindinews) January 9, 2020
বুধবার কংগ্রেস নেতা শত্রুঘ্ন সিনহা যাত্রা সম্পর্কে বলেছিলেন, “মহাত্মা গান্ধী ও জয়প্রকাশ নারায়ণের মতো বড় বড় নেতারা যদি আজ থাকতেন তাহলে বিজেপি তাদের সাথে কি করতো সেই ভেবে অবাক লাগে। উভয় প্রবীণ নেতা এর আগে বিজেপির অংশ ছিলেন। গত কয়েক বছর ধরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় সরকার উভয়ই নীতি সমালোচনা করে আসছেন। জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া সহিংসতার বিষয়ে যশবন্ত সিনহা বলেছিলেন কেন্দ্র সরকার কাশ্মীরকে অন্য রাজ্যের মতো করার দাবি করেছে কিন্তু বাস্তবে ওরা পুরো দেশকে কাশ্মীর বানিয়ে দিয়েছে।