সন্ন্যাসী হতে চেয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী! গুরুজির ধমক খেয়ে পাল্টে যায় পুরো জীবন
ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বর্তমান সময়ে একটা এত বড়ো নাম যা বিশ্বের তাবড় তাবড় দেশের নেতাদেরও পেছনে ফেলে দিয়েছে। আমেরিকার রাষ্ট্রপতি হোক বা চীনের রাষ্ট্রপতি কেউ ধারে কাছে নেই ভারতের প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তার। তবে ভারতবর্ষের জনগণ হয়তো এমন প্রধানমন্ত্রী থেকে বঞ্চিত হতো যদি নরেন্দ্র মোদীর গুরুজি তার জীবনকে প্রভাবিত না করতেন।
আসলে নরেন্দ্র মোদী সাধারণ জীবন ছেড়ে সন্ন্যাস হতে চেয়েছিলেন। তবে উনার জীবনে গুরুর আগমন হতেই নরেন্দ্র মোদীর রাস্তা বদলে যায়। আজ India Rag এর পাঠকদের আমরা সেই কাহিনী জানাবো। নরেন্দ্র মোদী তখন যুবক, সেই সময় রামকৃষ্ণ মিশনের স্বামী আত্মাস্থানন্দ গুজরাটের রাজকোট গিয়েছিলেন।
স্বামী বিবেকানন্দের জীবন থেকে প্রেরণা নিয়ে যুবক নরেন্দ্র মোদী পৌঁছে যান স্বামী আত্মাস্থানন্দ মহারাজের কাছে। আশ্রমে কিছু সময় থাকার পর নরেন্দ্র মোদী রামকৃষ্ণ মিশনের স্বামীজিকে বলেন যে তিনি সন্ন্যাসী হতে চান। কিন্তু স্বামী আত্মাস্থানন্দ নরেন্দ্র মোদীর এই ইচ্ছা পূরণ করতে অস্বীকার করেন। তিনি বলেন যে রাজকোট আশ্রমে তিনি তাকে সন্ন্যাসের দীক্ষা দিতে পারবেন না। নরেন্দ্র মোদীকে ইচ্ছা পূরণের জন্য কলকাতা যেতে হবে তথা বেলুড় মঠে উপস্থিত হতে হবে।
স্বামী আত্মাস্থানন্দ রামকৃষ্ণ মিশনের তৎকালীন প্রধান মাধব নন্দকে একটা চিঠি লেখেন। নরেন্দ্র মোদীর হাতে ওই চিঠি দিতে বেলুড় যেতে বলেন। বেলুড়ে এসেও হাজির হলে নরেন্দ্র মোদীর অনুরোধ খারিজ করে দেন মাধব নন্দ মহারাজ। তিনি বলেন যে তার সন্ন্যাস নেওয়া কাজ নয়, মানুষের মধ্যে থেকে সেবা করলে তাতেই যার আধ্যাত্মিক উন্নতি হবে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সেই থেকে স্বামী আত্মাস্থানন্দকে নিজের গুরু মানতেন। ২০১৭ সালে ১৮ ই জুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর গুরু দেহত্যাগ করেন। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন যে এটা তার ব্যক্তিগত ক্ষতি। দাবি করা হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যখন শপথ গ্রহণ করেছিলেন তখন তার জ্যাকেটে যে ফুল ছিল তা স্বামী আত্মাস্থানন্দ মহারাজের দেওয়া ফুল।