প্রাচীন সময়ে ভারত আমদানি তুলনায় রপ্তানি বেশি করতো। আর সেই কারণে ভারত আর্থিকদিক থেকে শক্তিশালী হয়ে উঠেছিল। এখন ভারতকে শক্তিশালী করতে হলে আবার রপ্তানির পরিমান বৃদ্ধি করতে হবে। আর এখন রপ্তানির জন্য সবথেকে ভলো বাজার হলো সুরক্ষা ও যুদ্ধের খাতে ব্যাবহৃত সরঞ্জাম ইত্যাদি। যার জন্য ভারত সরকার মেক ইন ইন্ডিয়ার আওতায় দেশীয় নির্মাণের উপর জোর দিচ্ছে।
মেক ইন ইন্ডিয়ার অধীনে ভারত সরকার একটি বড় উদ্যোগ নিয়েছে। ভারতীয় নৌবাহিনী ১১১ টি নতুন বহুমুখী হেলিকপ্টার আনতে একটি বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। সোভিয়েত কালীন হেলিকপ্টার প্রতিস্থাপনের জন্য ভারত সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এগুলি গড়ে তুলতে কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিরক্ষা খাত সম্পর্কিত মোট আটটি ভারতীয় কোম্পানির মধ্যে চারটি সংস্থা নির্বাচন করেছে। এই হেলিকপ্টার নির্মাণের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার এবং চারটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে প্রায় 25 হাজার কোটি টাকার একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
কেন্দ্রীয় নৌবাহিনী হেলিকপ্টার সরবরাহের জন্য এই চারটি বড় সংস্থা নির্বাচন করেছে। টাটা অ্যাডভান্স সিস্টেমস, আদানি ডিফেন্স, মাহিন্দ্রা ডিফেন্স সিস্টেম এবং ভারত ফরজকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদীর ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্পের আওতায় এই সংস্থাগুলি বিদেশী সংস্থাগুলির সাথে দেশে হেলিকপ্টার তৈরিতে সহযোগিতা করবে। এটি প্রযুক্তিগত দৃষ্টিকোণ থেকে খুব সক্ষম চুক্তি হবে। ইউরোপীয় এয়ারবাস হেলিকপ্টার সহ অনেক বিদেশী সংস্থা ভারতকে এই হেলিকপ্টার তৈরিতে সহায়তা করবে। পরিকল্পনা অনুসারে, ১১১ টি হেলিকপ্টারের মধ্যে ১৬ টি হেলিকপ্টার বিদেশ থেকে ভারতে পাঠানো হবে।
বাকি ৯৫ টি হেলিকপ্টার ভারতে নির্মিত হবে। বিদেশী সংস্থার সহায়তায় ভারতে হেলিকপ্টার তৈরি করা হবে। সরকার গত ১ বছর ধরে এই খসড়া নিয়ে কাজ করছিল। তৎকালীন প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর সভাপতিত্বে 25 আগস্ট 2018-এ অনুষ্ঠিত প্রতিরক্ষা সংগ্রহ পরিষদ সভায় এই হেলিকপ্টারগুলি কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। এই হেলিকপ্টারগুলি অনুসন্ধান এবং উদ্ধার কার্যক্রম, সামুদ্রিক অপারেশন, লজিস্টিকাল সাপোর্ট এবং টর্পেডোগুলিতে ব্যবহৃত হবে।