রাজপুত দের কথা আমাদের সবার জানা , কিভাবে তারা বীরত্বের সাথে নিজের জীবন বলিদান দিয়েছে মাতৃভূমির জন্য তা ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে। রাজপুতরা কখনই কোন শত্রুর সামনে নতজানু হননি, কিন্তু তাদের বীরত্ব, যুদ্ধ কৌশল শত্রুদের নাস্তানাবুদ করেছে। সর্বোত্তম যুদ্ধনীতি ছিল রাজপুতদের, তাদের ইস্পাতের তৈরি অস্ত্র এবং বর্ম ছিল সবার উপরে।অস্ত্রের এক ঘায়ে শত্রুর মাথা চোখের পলকে উড়ে যেত।
আজ আমরা আপনাদের এমন এক রাজপুত রাজার কথা বলতে যাচ্ছি যিনি দেশে নয়, শত্রু দেশ পাকিস্তানে থাকেন। সেখানে তিনি বীরত্বের সাথে এখনো তার দাপট বজায় রেখেছেন। তার একটি আওয়াজ এখনো কাপে পাকিস্তানীরা। হিন্দুরা সেখানে সংখ্যালঘু, কিন্তু সংখ্যালঘু হওয়া সত্ত্বেও সেখানে বসবাসকারী একটি রাজপুত পরিবারকে পুরো পাকিস্তান ভয় পায়। তাদের ভয় পাওয়ার পেছনের কারণটা বেশ মজার। দেশভাগের পর অনেক রাজপুত পাকিস্তানের অংশে গিয়েছিলেন এবং যখন রাজকীয় রাজ্যগুলি পাকিস্তানে যায় তখন রাজারা যেতেও বাধ্য হন। এই রাজ্যগুলির মধ্যে একটি হল অমরকোট বর্তমানে উমারকোট।
সেখানকার রাজা হলো কর্নি সিং সোধা। তিনি সবসময় দেহরক্ষী দিয়ে ঘেরা থাকেন। পাকিস্তানে এই রাজপরিবারের আধিপত্যের কারণ আসলে হমির সিং, যিনি কর্নি সিং এর পিতা। হামির সিংয়ের পিতা রানা চন্দ্র সিং অমরকোটের শাসক পরিবারের সদস্য ছিলেন। চন্দ্র সিং সাতবারের সাংসদ এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও ছিলেন এবং তিনি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোর খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। এমতাবস্থায়, পাকিস্তানের মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে হামির সিং এর পরিবার রাজা পুরু অর্থাৎ পারসের বংশধর এবং সে কারণেই তারা এই রাজপরিবারের সুরক্ষায় কোন কমতি রাখে না।
কর্নি সিং-এর দাদা অর্থাৎ রানা চন্দ্র সিং যখন পাকিস্তান পিপল পার্টি থেকে আলাদা হয়েছিলেন, তখন তিনি পাকিস্তান হিন্দু পার্টি গঠন করেছিলেন এবং এই দলের পতাকার রঙ ছিল গেরুয়া। এবং এতে ওম এবং ত্রিশূললের ছবি ও ছিল। এইভাবেই পাকিস্তানের মাটিতে এক হিন্দু রাজপুত পরিবার দিনের পর দিন তাদের রাজত্ব চালিয়ে যাচ্ছে।