ভারত দেশে এমন বেশকিছু রাজ্য রয়েছে যেখানে হিন্দুরা সংখ্যালঘুতে পরিণত হয়েছে। তবে যেহেতু হিন্দুদের ভোটব্যাংক হিসেবে ব্যবহার করা যায় না তাই রাজনৈতিক দলগুলিকে হিন্দুদের দাবি নিয়ে আওয়াজ তুলতে দেখা যায় না। অন্যদিকে যাদের ভোটব্যাংক হিসেবে ব্যাবহার করা যায়, তাদের জনসংখ্যা যতই হোক না কেন। রাজনৈতিক দলগুলি তাদের সংখ্যালঘু নাম দিয়ে তোষণে নেমে পড়ে।
তাজা খবর মহারাষ্ট্র থেকে সামনে আসছে, যেখানের বিশ্ববিদ্যালয়ের জমির উপর সরকারের সংখ্যালঘু বিভাগের নজর পড়েছে। মহারাষ্ট্রের সংখ্যালঘু কল্যাণ মন্ত্রী নবাব মালিক জানিয়েছেন যে মহারাষ্ট্রের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে সংখ্যালঘুদের জন্য হোস্টেল তৈরি করা হবে।
এই কর্মসুচির নাগপুর থেকে শুরু করা হয়েছে। নাগপুরের রাষ্ট্রসন্ত টুকডোজি মহারাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে মাইনরিটিদের হোস্টেল নির্মানের জন্য ১ কোটি ৮২ লক্ষ টাকা ব্যায়ের মঞ্জুরি দেওয়া হয়েছে। নবাব মালিক বলেন, এটা শিক্ষার একটা বড়ো কেন্দ্র। এখানে শহর ও গ্রাম দুই এলাকা থেকেই ছেলে মেয়েরা উচ্চ শিক্ষা গ্রহন করতে আসে।
নবাব মালিক বলেন, গ্রাম থেকে যারা শিক্ষা গ্রহন করতে আসে তাদের অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এই কারণেই হোস্টেল নির্মাণ করা হচ্ছে। এই হোস্টেলে ২০০ জন থাকতে পারবেন। লক্ষণীয়, শুধুমাত্র সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ছেলে মেয়েরা এই হোস্টেল ব্যাবহার করার সুযোগ পাবে। মহারাষ্ট্রের সংখ্যালঘু কল্যাণ মন্ত্রক রাজ্যের ২৩ টি জেলায় সংখ্যালঘু সমাজের জন্য হোস্টেল নির্মাণ কাজ শুরু করেছে।