উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা বাড়ছে। প্রত্যেকটি দল সেটা এসপি হোক, কংগ্রেস হোক বা বিএসপি বা বিজেপি প্রত্যেকটি দল তাদের পূর্ণ ক্ষমতা ঝুঁকে দেওয়ার টার্গেট নিয়ে ময়দানে নেমে পড়েছে।সম্প্রীতি বিজেপির তরফ থেকে যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) সম্পর্কে ঘোষণা করা হয়েছে যে তিনি অযোধ্যা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
বাবরী মসজিদের পক্ষপাতী ইকবাল আনসারিও অযোধ্যা থেকে নির্বাচনী লড়াইয়ে মুখ্যমন্ত্রী যোগীর আদিত্যনাথকে প্রকাশ্যে সমর্থন করেছেন। তিনি বলেছেন যে অযোধ্যায় মুসলমানরাও যোগীজিকে ভোট দেবেন। তার কথা অনুযায়ী, “গত পাঁচ বছরে অযোধ্যায় অনেক পরিবর্তন হয়েছে, মুসলমানরা শান্তিতে আছে।হিন্দু মুসলিম এর মধ্যে বিভেদ অনেক কমেছে।”
জানিয়ে দি, ইকবাল আনসারি মুসলমানদের মধ্যে এক বড় মুখ হিসেবে পরিচিতি। প্রকাশ্যে যোগীজির সমর্থন করা ইকবাল এর মত ব্যাক্তির এইটি খুব বড়ো ব্যাপার বলে মনে করা হয়। যদিও রাজনীতির ময়দানে কখন কোনটা হবে বলা মুশকিল। যায় হোক রাজনৈতিক মহল এইটাই মনে করছে বিজেপির জন্য এটা একটা বড় জয়।
এদিকে অযোধ্যা তে মন্দির নির্মাণ এর কাজ শুরু হয়ে গেছে।প্রধানমন্ত্রী মোদি ভারতবাসীর কাছে কথা দিয়েছিলেন মন্দির অযোধ্যা তেই হবে সেই কথা রেখেছে। সেইজন্য ভারতীয় জনতা পার্টির ক্ষেত্রে ইতিবাচক ঢেউ রয়েছে অযোধ্যায়। যেটাকে বিজেপি কাজে লাগাতে চাই। সেই ভাবনা থেকেই থেকে বিজেপির হাইকমান্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে যোগী আদিত্যনাথকে কে অযোধ্যা থেকে মাঠে নামানোর। যদিও মানুষ তাদের পছন্দের প্রতিনিধি কে বেছে নেবে কাজের ভিত্তিতেই। এটা বলার উপেক্ষা রাখে না যোগী জি এই নির্বাচনে এক জনপ্রিয় মুখ হিসেবে উঠে এসেছেন।