ভারতীয় সেনা আরো একবার পাকিস্তানের ঘুম উড়িয়ে দিয়েছে। আসলে ভারতীয় সেনা পাকিস্তানের ঢুকে একশন করার অভ্যাস শুরু করেছে। পাকিস্তানের সিন্ধু নদী অবধি ঢুকে যাওয়ার মতো সৈন্য শক্তি প্রদর্শন চলছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীকে জয়সালমির প্রান্তরে় শক্তি প্রদর্শন করতে দেখা যাচ্ছে। সেনাবাহিনী তার প্রস্তুতি পরীক্ষা করতে এবং আরও তীক্ষ্ণ করার জন্য বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) থেকে থর মরুভূমিতে অপারেশন সিন্ধু সুদর্শন শুরু করেছে। এতে সেনাবাহিনী ভারী অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ অভ্যাস সামিল রয়েছে। সেনাবাহিনী ট্যাঙ্কের মাধ্যমে তার স্মারক ক্ষমতার শক্তি প্রদর্শন করছে। অনুশীলনের নামকরণ করা হয়েছে সিন্ধু সুদর্শন, যা সিন্ধু নদীতে পৌঁছানোর লক্ষ্যের প্রতিনিধিত্ব করে। অভ্যাসে স্থল সেনা, বায়ু সেনার সাথে সাথে উচ্চস্তরের শিক্ষা প্রদান চলছে।
৪০ হাজার সেনার সাথে ৭০০ আর্মড বাহন, এবং সাউদার্ন কমান্ডের সুদর্শন চক্র কর্পসের 300 টি কামানও এই মহড়ায় অংশ নিচ্ছেন। বৈদ্যুতিন-অপটিকাল শুঁটি, হেলমেট-মাউন্টড এবং নাইট ভিশন গগলস সহ সজ্জিত হেলিকপ্টার রুদ্র ব্যবহৃত হচ্ছে। সম্প্রতি অন্তর্ভুক্ত 155 মিমি K9 বজ্রও একশনে নেমে পড়েছে। সিন্ধু সুদর্শন অপারেশনটি 12 ঘন্টার জন্য একটানা যুদ্ধ করার ক্ষমতা পরীক্ষা করবে। যান্ত্রিক বাহিনী চালকদের সময় প্রথমবারের জন্য শ্যুটার গ্রিড সেন্সর ব্যবহার করতে চলেছে। এর আওতায় গ্রিডের ছবি যুদ্ধক্ষেত্রে ইস্রায়েলি ইউএভি হেরন, হেলিকপ্টার এবং উপগ্রহে প্রেরণ করা হবে।
নজরদারি এবং আক্রমণাত্মক ব্যবস্থার পাশাপাশি এই অনুশীলনে সেনাবাহিনীর বিমান প্রতিরক্ষা উইং এবং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মতো সহায়ক উপাদানও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ইঞ্জিনিয়ারিং উপাদানগুলি অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মাইনগুলি সরিয়ে এবং যান্ত্রিক সেতু স্থাপনের মাধ্যমে সৈন্যদের চলাচলে সহায়তা করে। ভারতের যুদ্ধ অভ্যাসকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানের মিডিয়া হৈচৈ শুরু করে দিয়েছে। অনেক মিডিয়া ভারতের যুদ্ধ অভ্যাসকে POK দখলের ট্রেনিং বলে দাবি করেছে।