বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ হল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রায় রিজার্ভ হিসাবে থাকা গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। এগুলো সাধারণত বিনিময় হার সমর্থন এবং মুদ্রানীতি নির্ধারণ করতে ব্যবহৃত হয়। ভারতের ক্ষেত্রে বৈদেশিক রিজার্ভের মধ্যে রয়েছে স্বর্ণ, ডলার এবং বিশেষ অধিকারের জন্য আইএমএফের কোটা। আন্তর্জাতিক আর্থিক ও বাণিজ্য ব্যবস্থায় মুদ্রার গুরুত্ব বিবেচনায় বেশিরভাগ রিজার্ভ সাধারণত মার্কিন ডলারে রাখা হয়। কিছু কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের মার্কিন ডলারের মজুদ ছাড়াও ইউরো, ব্রিটিশ পাউন্ড, জাপানি ইয়েন বা চীনা ইউয়ানে রিজার্ভ রাখে।
ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৮.৮৯৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বৃদ্ধি পেয়ে সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে ৬৪২.৪৫৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।২৭ শে আগস্ট অর্থাৎ আগস্ট মাসের শেষ সপ্তাহে, রিজার্ভ ১৬.৬৬৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বেড়ে ৬৩৩.৫৫৮ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে, বিশেষত বিশেষ ড্রয়িং রাইটস (এসডিআর) হোল্ডিং বৃদ্ধির কারণে এই উন্নতি হয়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF) ভারতে ১২.৫৭ বিলিয়ন বরাদ্দ করেছিল।
সেপ্টেম্বর মাসের ৩ তারিখ নাগাদ, বিদেশী মুদ্রার সম্পদ (FCAs) বৃদ্ধির কারণে এই বৃদ্ধি হয়েছে, যা সামগ্রিক রিজার্ভের একটি প্রধান উপাদান। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI) শুক্রবার সাপ্তাহিক তথ্য বিশ্লেষণে এই তথ্য তুলে ধরেছে।
এফসিএ রিপোর্ট অনুযায়ী, এই সপ্তাহে ৮.২১৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বেড়ে ৫৭৯.৮১৩ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।বৈদেশিক মুদ্রা সম্পদের মধ্যে রয়েছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে থাকা ইউরো, পাউন্ড এবং ইয়েনের মতো নন-ইউএস ইউনিটের মূল্যায়ন বা অবমূল্যায়নের প্রভাব। সোনার মজুদ ৬৪২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বেড়ে ৩৮.০৪বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
আইএমএফের সঙ্গে বিশেষ ড্রয়িং রাইটস (SDRs) ২৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বেড়ে ১৯.৪৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। এই মুহুর্তে দেশের রিজার্ভ অবস্থান ১১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বৃদ্ধি পেয়ে ৫.১২১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে।ভারতের বৈদেশিক মুদ্রা সঞ্চয় বৃদ্ধির পরিমাণের দিকে নজর দিলে বোঝা যাবে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে বিশ্বে চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে তারা। রাশিয়াকে পেছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছে ভারত। ভারতের আগে অবস্থানকারী তিনটি দেশ হল চীন, জাপান এবং সুইজারল্যান্ড।