CAA আইন নিয়ে দেশজুড়ে বির্তক সৃষ্টি হয়েছে। এরমধ্যে কিছুজন দাঙ্গার পরিস্থিতি উৎপন্ন করেছে। পশ্চিমবঙ্গে লুঙ্গি বাহিনী ভাঙচুর চালাচ্ছে, অন্যদিকে দিল্লীতে কট্টরপন্থীরা ভাঙচুর চালাচ্ছে। বিশাল সংখ্যায় ভিড় রাস্তায় বেরিয়ে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের কাজ করছে। এর মধ্যে একটা রিপোর্ট সামনে আসছে যা খুবই চাঞ্চল্যকর। বেশকিছু সংবাদ মাধ্যম দেশে হওয়া উপদ্রব নিয়ে গ্রাউন্ড রিপোর্ট পেশ করেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে বেশিরভাগ দাঙ্গাবাজ কট্টরপন্থী CAB বা NRC সম্পর্কে কিছু না জেনেই রাস্তায় প্রতিবাদ করতে নেমে পড়েছে।
सीलमपुर का ये प्रदर्शनकारी ने अपना नाम ओसामा बिन लादेन बता रहा है।
जब इससे बात कीया तो पता चला कि पत्थरबाज़ी में शामिल मुस्लिम युवाओं को #NRC & #CAB के बारे में पता ही नही। उनसे बताया गया कि सरकार मुसलमान को रिफ्यूजी कैम्प में डाल देगी।@KapilMishra_IND
pic.twitter.com/72e6y1j9sn— Gaurav Mishra गौरव मिश्रा 🇮🇳 (@gauravstvnews) December 17, 2019
দিল্লীর সিলামপুরে কট্টরপন্থীরা যে উপদ্রব চালিয়েছে তাতে সাংবাদিকরা উপদ্রবকারীদের বিরোধ প্রদর্শনের কারণ জিজ্ঞাসা করলে তারা নিশ্চুপ থাকে। প্রদর্শনকারীদের জিজ্ঞাসা করা হয় যে কেন তারা রাস্তায় নেমেছে। উত্তরে কট্টরপন্থীরা জানায় যে সবাই রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাচ্ছে তাই তারাও রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। ওসামা বিন লাদেন নামের এক উপদ্রবীকে CAB বা NRC নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে সে নিশ্চুপ হয়ে যায়। NRC বা CAB এর ফুল ফর্ম পর্যন্ত বলতে পারেনি ওই কট্টরপন্থী।
এর আগেও হেডলাইনস ইন্ডিয়ার এক সাংবাদিক দিল্লীতে কিছু মুসলিম প্রদর্শনকারীদের মুখোমুখি হয়েছিলেন। তিনি তাদের CAB সংক্রান্ত প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করলে তারা কেউ উত্তর দিতে পারেননি। কেউ বলে মুসলিমদের বের করা হচ্ছে, কেউ বলেছে CAB মানে হলো NRC, কেউ আবার বলেন তার জানা নেই। সেলিমপুরে দিল্লী পুলিশ ও সরকারি বাসের উপর পাথরবাজি হওয়ার পর কট্টরপন্থীরা এদিক ওদিক ঘুরে বেড়াচ্ছিল। সেই সময় সাংবাদিকরা জিজ্ঞাসা করেন যে তারা কেন এমন করছে। উত্তরে সকলেই নীরব হয়ে পড়ে, কেউ কেউ হাসাহাসি করতে থাকে।
সেলিমমপুরে বিক্ষোভকারীরা গাড়ি ভাঙচুর করে এবং আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল। এরপর বিশাল সংখ্যায় পুলিশ বাহিনী নেমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দিল্লীতে পাথরবাজি হওয়ার সময় CCTV ক্যামেরা বন্ধ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। কেজরিওয়াল সরকার এই ষড়যন্ত্র করেছে বলে অভিযোগ সামনে এসেছে। CAA নিয়ে সরকার জানিয়েছে, বিল পাস করানো হয়েছে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানে থাকা সংখ্যা লঘুদের জন্য তারা সেখানে ধর্মীয় কারণে নিপীড়িত। এখন সরকারের বিরুদ্ধে মাঠে নেমে লুঙ্গি বাহিনী ও অন্যান্য কট্টরপন্থীরা দেশের সম্পত্তি নষ্ট করতে নেমেছে।