বিশ্বের সবথেকে উন্নত ভাষা হলো সংস্কৃত ও সবথেকে ভালো শিক্ষামূলক ঘটনা হলো রামায়ণ মহাভারত। বিশ্বের উন্নত দেশগুলো সংস্কৃতি ভাষা ও ভারতের ঐতিহাসিক ঘটনা শেখানোর উপর জোর দেয়। অন্যদিকে ভারত এখনও ইংরেজদের লাগু করা শিক্ষা ব্যাবস্থা চালিয়ে যেতে ব্যাস্ত। আজও ভারতীয়রা নিজেদের সভ্যতা সম্পর্কে জানার চেষ্টা না করে বিদেশীদের লেখা উপন্যাস পড়তে আগ্রহী। ভারতীয়রা যাতে নিজেদের সংস্কৃতিকে ঘৃণার চোখে দেখে সেই কারণে ইংরেজরা ভারতের গুরুকুল শিক্ষা প্রণালী ধ্বংস করে তাদের পরিকল্পনা মাফিক এক শিক্ষা ব্যাবস্থা ভারতে চালু করেছিল।

তবে স্বাধীনতার এত বছর পরেও নিজেদের সংস্কৃতিকে সম্প্রসারিত করার শিক্ষা পদ্ধতি খুবই কম দেখা গেছে। এখন হরিয়ানা থেকে একটা ভালো খবর আসছে যা আগামী দিনে ভারতকে এক উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যাওয়ার প্রয়াস করবে। মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর (Manohar Lal Khattar) হরিয়ানার প্রতিটি বিদ্যালয়ে বাচ্চাদের গীতার আয়াত পড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন, সিএম খট্টার বলেছেন যে রাজ্যের স্কুলগুলির পাঠ্যক্রমে গীতা পাঠ যুক্ত করা হবে। বিদ্যালয়ে গীতা পড়ানোর পেছনের কারণ ব্যাখ্যা করে মুখ্যমন্ত্রী খট্টর বলেছেন যে শিক্ষার্থীদের ভাল আচার আচরণ শেখানোর জন্য সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
এসময় তিনি বলেছিলেন যে জীবনের মূল কথা গীতা থেকে শেখা যায়।সিএম খত্তর বলেছেন, আমরা আগেও বলেছি। আমরা গীতার কয়েকটি আয়াতকে সিলেবাসে সংক্ষিপ্তসার হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করব, যাতে বাচ্চারা ভাল আচার শিখতে পারে। প্রসঙ্গত জনিয়ে দি, ভারতের বিখ্যাত বিজ্ঞানী ও পূর্ব রাষ্ট্রপতি আব্দুল কালাম পর্যন্ত গীতা পাঠের উপর খুব জোর দিতেন। ধার্মিক হিসেবে একজন মুসলিম হলেও উনি গীতাকে সমস্ত মানুষের উপদেশ গ্রন্থ হিসেবে মনে করতেন।
দেশের স্বাধীনতার জন্য নিজের প্রাণ বলিদান করা ক্ষুদিরাম বসুও গীতা পাঠ করেই দেশের জন্য লড়াই করার অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন। হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন গীতা জীবন পরিবর্তনের মূল গ্রন্থ, তাই আমরা স্কুলে গীতা পাঠের উপর জোর দেব। ছোট ক্লাসগুলিতে শুধু শ্লোক পোড়ানো হবে। আর উঁচু ক্লাসে ভিন্ন কাহিনীর সাথে শ্লোক পাঠ নিযুক্ত থাকবে।