একুশের নির্বাচনে প্রার্থী হলেন না কেন বাঙালিবাবু? নিজের মুখেই জানালেন সে কথা
বাঁকুড়াঃ প্রথম দফার নির্বাচনের প্রচার একদম শেষ পর্যায়। আর প্রচারের শেষ দিনে আজ বাঁকুড়া কাঁপালেন পর্দার MLA ফাটাকেষ্ট মিঠুন চক্রবর্তী। বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ার শালতোড়া, পুরুলিয়ার মানবাজার, ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়িতে রোড শো করেন মহাগুরু। প্রাণের চেয়ে প্রিয় মানুষকে দেখতে আজ উপচে পড়ে মানুষের ভিড়। বাঁকুড়ার শালতোড়ায় মহাগুরুকে দেখতে এত ভিড় হয়েছিল যে, মহাগুরু বাধ্য হয়ে ১৫ মিনিট ঠাই হেলিকপ্টারে বসে ছিলেন।
শালতোড়া বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী চন্দনা বাউরী নির্বাচনী প্রচারে মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তীর উপস্তিতে জনসমুদ্র বলছে এবার বাংলায় বিজেপি সরকার। #Vote4BJP #Vote4SonarBangla #EbarBJP pic.twitter.com/9zQ0BagtyY
— BJP Bengal (@BJP4Bengal) March 25, 2021
মিঠুন চক্রবর্তীর সমুদ্র সমান জনপ্রিয়তাকে অস্ত্র করেই ভোট প্রচারে তাঁকে কাজে লাগাতে চাইছে বিজেপি শিবির। মিঠুন চক্রবর্তীকে দেখার জন্য এতোটাই জনজোয়ার তৈরি হয়েছিল সেখানে, যার কারণে হেলিকপ্টার সেখানে পৌঁছে গেলেও তাঁকে ১৫ মিনিট ধরে তার মধ্যেই বসে থাকতে হয়। এত মানুষের ভিড়, যার কারণে হেলিকপ্টারের দরজাই খোলা অসম্ভব হয়ে পড়েছিল।
সাধারণ মানুষের সমর্থনে আসল পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে এবং সোনার বাংলা গড়ে তোলার সংকল্প নিয়ে শালতোড়া বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী চন্দনা বাউরী নির্বাচনী প্রচারে জনসম্পর্ক করছেন। উপস্থিত ছিলেন মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তী। #Vote4BJP #Vote4SonarBangla #EbarBJP pic.twitter.com/52V7hphoQv
— BJP Bengal (@BJP4Bengal) March 25, 2021
এরপর পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়িতে মহাগুরুকে দেখার জন্য মানুষের ঢল ছিল চোখে পড়ার মতন। অধীর আগ্রহে প্রায় সকলেই অপেক্ষা করছিলেন ঠিক কখন সেখানে এসে উপস্থিত হবেন মিঠুন চক্রবর্তী। হুডখোলা জিপে কেশিয়ারি বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী সোনালী মুর্মুকে সঙ্গে নিয়েই প্রচারে বেরিয়েছিলেন তিনি। প্রচারে পথে উৎসুক জনতার উদ্দেশ্যে আবার ফুল ছুড়তেও দেখা যায় তাঁকে।
বিজেপির সরকার ক্ষমতায় আসলেই ডিভিডির মাধ্যমে সরকারি সুবিধা মিলবে। কৃষকদের লেনদেনে ফড়েদের কোন জায়গা থাকবে না। #EbarBJP
— Mithun Chakraborty (@mithunda_off) March 25, 2021
সেখানেই এক সাক্ষাৎকারে মহাগুরু বলেন, ‘এখানে আমি আত্মবিশ্বাস দিতে এসেছি মানুষকে। মানুষকে বলতে এসেছি নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার ছিনিয়ে নিতে হবে। আমি একটাই শ্লোগান দেব, নিজেদের অধিকার ছাড়লে চলবে না, ছিনিয়ে নিতে হবে। বাংলার মানুষ কাউকে ভয় পায় না, কোনদিন তাদের আন্ডার এস্টিমেট করবেন না। তাঁরা সকলেই নির্ভয়ে এসে ভোট দেবেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে মানুষের কাছ থেকে প্রচুর সাড়াও পেয়েছি। ২০০-র বেশি আসনে জয়ী হবে বিজেপি, কৈ সক!”
মহাগুরু একুশের বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হবেন কি না, সেটা নিয়ে চলছিল নানান জল্পনা। এমনকি কাশীপুর কেন্দ্রে তিনি ভোটার তালিকায় নিজের নাম তুলে বাংলার ভোটারও হয়ে যান। কিন্তু শেষমেশ তিনি প্রার্থী হন নি। ওনাকে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি নির্বাচনে প্রার্থী হব না। কারণ আমি প্রার্থী হলেই স্বার্থপর হয়ে যাব। আমি মানুষের জন্য লড়াই করতে চাই। স্বার্থপর হতে চাই না।