কর্ণাটকের ম্যাঙ্গালুরুর কোরগজ্জা মন্দিরের এক ঘটনা দেশের চর্চায় উঠে এসেছে। আসলে স্বামী কোরাগজ্জার প্রতি কর্নাটকের মানুষজনের মনে প্রবল আস্থা রয়েছে। হিন্দুদের মতে স্বামী কোরাগজ্জা ভগবান শিবের অবতার। একই সাথে হিন্দুরা এও দাবি করে যে, স্বামী কোরগজ্জা ন্যায় করার দিক থেকে সবথেকে দ্রুত। অর্থাৎ কোনো অন্যায় ঘটলে তার ন্যায় সবথেকে প্রথমে স্বামী কোরগজ্জা করেন।
সম্প্রতি সময়ে কোরাগজ্জা মন্দিরে অভদ্র ঘটনা ঘটেছিল। কিছু যুবক কন্ডোমের মধ্যে মূত্র পূর্ন করে তা মন্দিরের দানপাত্রে দিয়েছিল। এই ঘটনার পর এলকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে যায়। স্থানীয়রা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। যদিও পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পারেনি।
শ্রদ্ধালুরা বার বার স্বামী কোরগজ্জার কাছে বিধর্মীদের শাস্তির বিনতি করেন। সম্প্রতি এমন এক ঘটনা ঘটেছে যাতে বিধর্মী অপরাধীরা নিজেরাই এসে মন্দিরের পুরোহিতের কাছে ক্ষমা চাইতে শুরু করে। পুরোহিতের কাছে কান্নাকাটি করে অপরাধীরা ক্ষমা চাইতে শুরু করে। প্রথমদিকে পুরোহিত মনে করেন যে যুবকেরা মজা করছে। কিন্তু তাদের গম্ভীর ভয়ভীতি মুখ দেখে এবং পুরো ঘটনা শোনার পর পুরোহিত বিষয়টি বুঝতে পারেন।
যুবকেরা পুরোহিতকে বলেন যে তারা তাদের আরেক সাথী নওয়াজের সাথে মিলে মন্দিরের দানপাত্রে কন্ডোম ফেলেছিল। কিন্তু এখন নওয়াজ ক্ষমা চাইবার জন্য বেঁচে নেই। দানপাত্রে কন্ডোম ফেলার একদিন পর থেকে তার বমি হতে শুরু করে এবং বমির সাথে মুখ থেকে রক্ত বেরোতে শুরু করে। এরপর তার মলদ্বার থেকেও রক্ত বেরোতে শুরু করে। শেষ নিজের বাড়ির দেয়ালে মাথা ঠুকতে ঠুকতে তার মৃত্যু হয়। মরার সময় নওয়াজ বলে যে কোরগজ্জা তাদের উপর ক্রোধ প্রকাশ করছে।
Don't miss this story.
Recently few peacefuls urinated inside temple & had put condom in the Hundi Box of Mangaluru's local deity Swami #Koragajja
Koragajja is also seen as avatar of Lord Shiva.
Incident happened not in one Temple, but in many.
People lodged complaint too.
1/n pic.twitter.com/vZKAEwWgVo— Chiru Bhat | ಚಿರು ಭಟ್ (@mechirubhat) April 1, 2021
এখন আব্দুল রহিম ও আব্দুল তৌফিক
বেঁচে আছে। কিন্ত এখন রহিমেরও বমি শুরু হয়ে গেছে। এরপর তারা ভয়ে প্রাণ বাঁচাতে মন্দির পরিসরে হাজির হয়েছে। দুজন যুবক পূজারীর সামনে গিয়ে প্রাণের ভিক্ষা চেয়েছে এবং স্বামী কোরগজ্জার সামনে দাঁড়িয়ে ক্ষমা চেয়েছে। আপাতত পুলিশ দুজনকে হেফাজতে নিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে যে দুজন যুবক খুবই ভয়ভীতি হয়ে পড়েছে। যদিও তারা মন্দিরে এমন কান্ড কেন করেছে তা এখনও জানা যায়নি।