নানা বাহানা তৈরি করে বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর হামলার ঘটনা খুবই সাধারণ। তবে দুর্গাপুজোয় যেভাবে একের পর এক হিন্দুদের পূজা মণ্ডপ ভেঙে ফেলা হয়েছে তা পুরানো স্মৃতিকে উস্কে দিয়েছে। দুর্গাপুজোয় অষ্টমীর দিন কুমিল্লার এক পূজামণ্ডপ থেকে কোরআন পাওয়া যায়। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উন্মাদী কট্টরপন্থীদের ভীড় হিন্দুদের উপর হামলা চালায়। ভেঙে ফেলা হয় একের পর এক দুর্গা পূজা মণ্ডপ, পাশাপাশি পুড়িয়ে ফেলা হয় বহু হিন্দুদের ঘর বাড়ি।
এর পরিপ্রেক্ষিতে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশের প্রায় ১০ জেলায়। কুমিল্লার ওই পূজামণ্ডপ সহ বিভিন্ন পূজামণ্ডপে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়েছে। প্রতিমা ভেঙে ছাতিপাড়া কালী মন্দিরের হামলা চালিয়ে আগুন লাগানো হয়েছে। এই জেরে চাঁদিপুরে নিহত হয়েছে চারজন সাধারণ নাগরিক। ১৫ টির কাছাকাছি পূজামণ্ডপে প্রতিমা ভাঙচুর এবং আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটেছে। বাংলাদেশ পুজো উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চ্যাটার্জি জানিয়েছেন, কুমিল্লার পর চাঁদপুর, গাজীপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে মন্দির ও মণ্ডপে হামলা এবং প্রতিমা ভাঙচুরের খবর পাওয়া গিয়েছে।
এই ঘটনার প্রতিবাদে গর্জে উঠেছে চট্টগ্রাম। সেখান থেকে সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, প্রচুর সংখ্যায় মানুষ হাজির হয়েছেন চট্টগ্রামে। তাদের বক্তব্য, এই নক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদে পথে নেমেছে কুমিল্লাসহ সমস্ত বাংলাদেশের মানুষ। রানা দাশগুপ্ত সহ পুরো পূজা কমিটি প্রতিবাদে সরব হয়েছেন।
আর নয় প্রতিরোধ
এবার হবে প্রতিশোধ।©বাংলাদেশ জনতা পার্টি
©Mondir TV pic.twitter.com/zCgjMxOfP7— Avro Neel Hindu🕉️🇧🇩 (@avroneel90) October 16, 2021
এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৪৩ জনকে। বাংলাদেশের একাধিক জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেমেছে বিজিবি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার উদ্দেশ্যে যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে ধর্মীয় সম্প্রদায় নির্বিশেষে তাদের শাস্তি দেওয়া হবে। অবশ্য সরকারের বলা ও করার মধ্যে ফারাক অনেক। তাই এমন ঘটনার পর সরকার কি পদক্ষেপ নেবে তা ভবিষ্যতেই বোঝা যাবে।