দিল্লী থেকে এক বড়ো খবর সামনে আসছে। খবর অনুযায়ী পেঁয়াজের (Onion) লাগাতার মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে সংসদে বৈঠক করেছেন একদল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এই বৈঠকের সভাপতিত্ব করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল, নরেন্দ্র সিং তোমার এবং মন্ত্রিপরিষদ সচিব রাজীব গৌবা এবং প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা পি কে সিনহা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এদিকে, লোকসভায় নির্মলা সীতারামনের বক্তব্যকে কটূক্তি করে বিরোধিরা মাঠে নেমে পড়েছে। কিছু সংবাদ মাধ্যমও নির্মলা সীতারমনের বক্তব্যকে অন্য ভাবে পেশ করছে। আসলে সদনে এক MP নির্মলা সীতারমনকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে তিনি কি পিঁয়াজ খান। উত্তরে সীতারমন বলেছিলেন আমার বাড়িতে পেঁয়াজ, রসুনের কোনো সম্পর্ক নেই।
কিছু সংবাদ মাধ্যম দ্বারা এই বক্তব্যকে এক তরফাভাবে পেশ করা হচ্ছে। AIMIM এর নেতা আসাউদ্দিন ওয়েসী বলেন এটি সাধারণ মানুষের সরকার নয়, এটি কর্পোরেট সরকার। যারা কাউকে পেঁয়াজ খেতে দেবে না। এই সরকারের দরিদ্রদের সরকার নয়। সরকার আন্তর্জাতিক বাজার থেকেও বেশ কিছু পেঁয়াজ তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মিশর, তুর্কি ও আফগানিস্তান এই তিনটি দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। মিশর থেকে ৬০৯০ টন, তুরস্ক থেকে ১১,০০০ টন পেঁয়াজ আনা হবে বলে জানা যাচ্ছে।
মোট ১৭০৯০ টন পেঁয়াজ আনার চুক্তি আপাতত সম্পন্ন হয়েছে। পরিস্থিতি বুঝে এই পরিমান আরো বৃদ্ধি করা হবে। এখন পাকিস্তান থেকে প্ৰতিদিন প্রায় ট্রাক পেঁয়াজ ভারতে প্রবেশ করে। যা কোনোভাবেই যথেষ্ট নয়। বর্তমানে পেঁয়াজের দামের যা অবস্থা তাতে দেশের প্রত্যেকটি প্রান্তে এই দাম ১০০ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। কিছু কিছু জায়গায় পেঁয়াজের মূল্য ১৫০ ছুঁয়ে গেছে। যার ফলস্বরূপ সাধারণ মানুষের জীবনে একটা বড়ো প্রভাব পড়েছে এবং মানুষ সরকার উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
যদিও এ বছর দেশের বেশ কয়েটি রাজ্যে বন্যা হওয়ার কারণে পেঁয়াজ অভাব তৈরী হয়েছে। প্রথমদিকে মনে করা হচ্ছিল, কোল্ড স্টোরে সম্ভবত পেঁয়াজ মজুত রয়েছে যা বের করা হচ্ছে না। কিন্তু সরকারের তদন্তের পর জানা গেছে যে কোল্ড স্টোরেও সেই হারে পেঁয়াজ নেই যা দাবি করা হচ্ছিল। এখন দেশের মানুষকে পেঁয়াজের মূল্য থেকে স্বস্তি দিতে বিদেশের সাথে চুক্তি করে পেঁয়াজ আনার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে।