সম্পত্তি বন্ধক রেখে চড়া সুদে ঋণ নিল পাকিস্তান, টাকা দিতে না পারলে বাজেয়াপ্ত হবে জাতীয় সম্পদ
নয়া দিল্লিঃ নিজেদের ঋণ খেলাপি হওয়া থেকে বাঁচতে রেকর্ড সুদে ঋণ নিল পাকিস্তান। দেশে ঋণ পরিশোধের টাকা নেই, তাই পাকিস্তান ইসলামিক সুকুক বন্ডের মাধ্যমে রেকর্ড ৭.৯৫% সুদের হারে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ নিয়েছে। পাকিস্তানের ইতিহাসে ইসলামিক বন্ডে এটাই সর্বোচ্চ সুদের হার।
এই ঋণের বিনিময়ে পাকিস্তান ৭ বছরের জন্য লাহোর ইসলামাবাদ মোটরওয়ের (M2) একটি অংশ বন্ধক রেখেছে। এই জাতীয় সম্পদটি ১৯৯০-র দশকে তৈরি করা হয়েছিল যা এখন আন্তর্জাতিক পুঁজিবাজার থেকে ঋণ সংগ্রহ করতে ব্যবহৃত হচ্ছে। পাকিস্তানের সংবাদপত্র দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের রিপোর্ট অনুযায়ী, অর্থ মন্ত্রক বলেছে যে, কিছু বড় বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের আগে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার বাড়াতে এই ঋণ নিতে হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রক থেকে জানানো হয়, দেড় মাস আগে সৌদি আরব থেকে ধার নেওয়া ৩ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার খরচ হয়ে গিয়েছে। এরপর প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন সরকারকে নগদ অর্থের জন্য আন্তর্জাতিক পুঁজিবাজারের দ্বারস্থ হতে হয়। মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে যে, ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত পাকিস্তানের সরকারি বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার ১৭ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।
অর্থ মন্ত্রক বলেছে যে, পাকিস্তান ৭.৯৫% সুদের হারে ১ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহের জন্য ৭ বছরের মেয়াদসহ সম্পত্তি ভিত্তিক সুকুক বন্ড ইস্যু করেছে। এই হার গত বছরের এপ্রিলে সরকার কর্তৃক জারি করা ১০ বছরের ইউরোবন্ডের তুলনায় প্রায় অর্ধ শতাংশ বেশি।
একটি ইসলামিক সুকুক বন্ড এবং একটি ঐতিহ্যবাহী ইউরোবন্ডের মধ্যে মূল পার্থক্য হল যে, ঋণগ্রহীতাকে ইসলামী সুকুক ঋণের বিনিময়ে একই পরিমাণ সম্পত্তির মালিকানা দিতে হবে। যেখানে ঐতিহ্যগত ইউরোবন্ডে ঋণ ভিত্তিক অর্থ দেওয়া হয়। ইসলামিক সুকুক বন্ডের সুদের হার কম কিন্তু পাকিস্তান সরকার এতে রেকর্ড হারে সুদ দিচ্ছে।