দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তার ফিটনেসের জন্য বিশ্ব জুড়ে খ্যাতি অর্জন করেছেন। বয়স ৬০ পেরিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও মাত্র ৪ থেকে ৫ ঘন্টা ঘুম এবং অসাধারণ ফিটনেস প্রধানমন্ত্রী মোদীর মধ্যে লক্ষ করা যায়। প্রধানমন্ত্রী খাওয়া দাওয়া ও শরীরচর্চা সম্পর্কেও খুব সচেতন। সম্পূর্ণ নিরামিষভোজী ও নিত্য যোগ কররা ফলে প্রধানমন্ত্রীর থেকে রোগ ব্যাধি দূরেই থাকে। শুধুমাত্র ফিটনেসের কারণেই প্রধানমন্ত্রী মোদীর একটা বড়ো ফ্যান লিস্ট রয়েছে। তবে ফিটনেস থাকা সত্ত্বেও অনেক সময় মানুষকে অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়। আজ প্রধানমন্ত্রী মোদীর সাথেও কিছুটা এমন ঘটনা ঘটিত হয়েছে।
আজ প্রধানমন্ত্রী মোদী (Narendra Modi) সেই সময় অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েন যখন উনি সিঁড়ি দিয়ে উঠতে গিয়ে হোঁচট খেয়ে পড়েন। প্রধানমন্ত্রী মোদী শনিবার কানুপার গিয়েছিলেন যেখানে তিনি অটল ঘাটে (Atal Ghat) পৌঁছেছিলেন এবং স্টিমারের মাধ্যমে গঙ্গার পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার পরিদর্শন করেছিলেন। এদিকে, গঙ্গা ব্যারাজের সিঁড়ি বেয়ে উঠতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী হঠাৎ পিছলে গেলেন।
পুরো ঘটনার ভিডিও সামনে এসে গেছে। ভিডিওতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রী মোদী গঙ্গা ব্যারেজের উপর উঠতে গিয়ে হোঁচট খেয়ে পড়ে যান। অবশ্য সাথে সাথে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সাথে থাকা NSG কমান্ডরা প্রধানমন্ত্রী মোদীকে সামলে নেন। ভালো খবর এই যে প্রধানমন্ত্রী মোদী আহত হননি। আসলে প্রধানমন্ত্রী মোদী খালি পায়ে সিঁড়ি দিয়ে উঠছিলেন, সেই কারণেই হয়তো এমন ঘটনা ঘটেছে।
PM #Modi falls down the stairs in at Atal ghat in U.P's Kanpur.
He fell down on the stairs of #AtalGhat after he returned to the shore after taking a boat ride scheduled to inspect the cleanliness of the river #Ganga under the #NamamiGange Project. pic.twitter.com/UjvqVn6DYi
— Sunil kumar (@TweetsOfSunil) December 14, 2019
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শনিবার সকালে কানপুরের চকেরি বিমানবন্দরে একটি বিশেষ বিমানে অবতরণ করেছিলেন। যেখানে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং তাঁর মন্ত্রিসভার সহকর্মী ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা তাকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী চকেরি বিমানবন্দরে অবতরণের পরে হেলিকপ্টারযোগে চন্দ্রশেখর আজাদ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (সিএসএইউ) পৌঁছেছেন। তারপরে তিনি নামামি গঙ্গা মিশনের আওতাধীন প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন। জাতীয় গঙ্গা কাউন্সিলের সভা প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বিকেলে শেষ হয়। পাঁচটি রাজ্য ইউপি, উত্তরাখণ্ড, বিহার, ঝাড়খন্ড এবং পশ্চিমবঙ্গে গঙ্গার অবস্থার বিষয়ে সভাটি মন্থন করে।