হায়দরাবাদের শামসবাদে ২৬ বছর বয়সী এক মহিলা চিকিৎসকের পুড়ে যাওয়া লাশ পাওয়ার পর থেকে দেশজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। এই ঘটনার খবর পাওয়ার পরে, যেখানে পুলিশ সক্রিয়ভাবে মামলাটির তদন্তে নেমে পড়ে
অন্যদিকে, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরাও গতরাত থেকে প্রিয়াঙ্কা রেড্ডি জন্য ন্যায় বিচারের দাবি করছেন। পশুচিকিত্সক প্রিয়াঙ্কা রেড্ডি (Priyanka Reddy) কল্লুর ভেটেরিনারি হাসপাতালে কাজ করতেন। তিনি বুধবার (নভেম্বর 27, 2019) সেখানে গিয়েছিলেন। তিনি তার স্কুটি শাদনগরের টোল প্লাজা শামসাবাদের কাছে পার্ক করেছিলেন।

কিন্তু যখন সে রাতে সেখানে ফিরে আসল, তখন তার স্কুটির চাকা পাঞ্চার ছিল। তিনি এটি তার বোনকে ফোনে জানিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন যে তিনি ভয় পেয়েছেন, কারণ তার চারপাশে কেবলমাত্র লোডিং ট্রাক এবং অজানা লোক রয়েছে। প্রিয়াঙ্কাকে ভয় পেয়ে দেখে তার বোন তাকে স্কুটি পার্ক করে ক্যাব এর মাধ্যমে আসার পরামর্শ দেন। তবে প্রিয়াঙ্কা তাকে বলেছিলেন যে কিছু লোক তাকে সহায়তা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে, তাই তিনি কিছুক্ষণের মধ্যেই ফোন করবেন।
One accused MOHAMMED Pasha has been arrested #JusticeForPriyankaReddy pic.twitter.com/NrBccLfoJC
— Raja Singh (@TigerRajaSingh) November 29, 2019
এই ঘটনার পরে, প্রিয়াঙ্কা কোনও ফোন কল আসেনি। কয়েক মিনিটের পরে পরিবার তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে, তার ফোনটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। বিড়ম্বনায় পড়ে পরিবারগুলি নিজেরাই প্রিয়াঙ্কাকে খুঁজতে টোল প্লাজায় এগিয়ে যায়। যখন তাকে পাওয়া যায়নি, তিনি ক্লান্ত হয়ে পুলিশ অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। অভিযোগ পাওয়ার পরে, বৃহস্পতিবার (28 নভেম্বর, 2019), পুলিশ জানতে পারে যে হায়দরাবাদ-বেঙ্গালুরু মহাসড়কের কাছে এক মহিলার পোড়া লাশ দেখা গেছে। প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তারা প্রিয়াঙ্কার পরিবারের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করে।
পোশাক এবং গলার লকেট দেখে নিশ্চিত হয়ে যায় যে পোড়া লাশ প্রিয়াঙ্কার। মৃত্যুর আগে পুলিশ ধর্ষণ হয়েছে বলে সন্দেহ পুলিশের। পুলিশের এই সন্দেহ ভিত্তিহীন নয়। কারণ যেখানে প্রিয়াঙ্কার অর্ধ-পোড়া লাশ পাওয়া গিয়েছে তার ১০০ মিটারের মধ্যে তার অন্তর্বাস পাওয়া গেছে। পুলিশ এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে। সিসিটিভি ফুটেজ যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে, প্রিয়াঙ্কার কল রেকর্ড চেক করা হচ্ছে, প্রিয়াঙ্কাকে সাহায্যের প্রস্তাব দেওয়ার লোকেরা কে ছিল তা জানার চেষ্টা চলছে। শামসাবাদের জেলা প্রশাসক প্রকাশ রেড্ডি বলেছেন যে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি ওই মহিলাকে হত্যা করেছে এবং তার দেহে আগুন দিয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশ মহম্মদ পাশাকে গ্রেফতার করেছে। মহম্মদ পাশার পুরো গ্যাংকে গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে। প্রিয়াঙ্কার পরিবার দাবি করেছে অপরাধীদের যেন জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়।