দেশের রাজধানী দিল্লীতে (Delhi) অবস্থিত জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে (JNU) সস্তা ফিসের দাবিতে বামপন্থী ও উগ্রবাদী ছাত্ররা উপদ্রব শুরু করেছিল। কিছুদিন আগেই এই উগ্র ছাত্ররা স্বামী বিবেকানন্দের (Swami Vivekananda)মূর্তিকে ভেঙে দিয়েছিল। শুধু তাই নয়, মূর্তির চারিপাশে নানা অপশব্দ লিখে দিয়ে স্বামী বিবেকানন্দের অপমান করেছিল। এই উগ্র ছাত্রদের টার্গেটে ছিল গেরুয়া, সনাতন ধর্ম। এই ছাত্ররা ফিস কমানোর নামে আন্দোলনের নামে মূলতো হিন্দুত্বের বিরোধ করেছিল। আর এই কারণেই স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তিকে ক্ষতিগ্রস্থ করেছিল।
খবর সামনে আসতেই পুরো দেশের হিন্দু সমাজের মধ্যে আক্রোশ সৃষ্টি হয়। স্বামী বিবেকানন্দ ও গেরুয়ার অপমান হওয়ায় মানুষ প্রতিবাদী হতে শুরু করে। রবিবার দিন দিল্লীর হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি রাস্তায় নেমে পড়ে। স্বামী বিবেকানন্দের অপমানের প্রতিবাদে হিন্দু সংগঠনগুলি JNU পর্যন্ত পৌঁছে যায়। প্রবল হিন্দু জাতীয়তাবাদী আজাদ বিনোদ এর নেতৃত্বে কয়েকশ হিন্দুবাদী কর্মী মুনিরকা মেট্রো স্টেশন থেকে JNU পর্যন্ত বিশাল গেরুয়া যাত্রা করেছিল।
যাত্রা শুরু হওয়া মাত্র সকলকে মিলে, “স্বামী বিবেকানন্দ কা ইয়ে অপমান, নেহি সেহেগা হিন্দুস্তান” শ্লোগান দেয়। গেরুয়া যাত্রাতে উপস্থিত থাকা মহিলারা সংগীতময় কৌশলে শ্লোগান দিচ্ছিলেন। ‘হাম দেনা আয়ে হ্যায় আজাদী, লে লো আ কার আজাদী’ ,’আফজল কো দে দি আজাদী, তুম ভি লে লো আজাদী’ ইত্যাদি ইত্যাদি শ্লোগানবাজি শোনা যায়। আসলে JNU এর বামপন্থী ও টুকরে টুকরে গ্যাং এর উদ্যেশে এই ধরনের শ্লোগান দেওয়া হয়েছিল।
The real face of this fascist government. Bhagwa rally to #ShutDownJNU is happening in front of Munirka metro station right now which will reach jnu gates in sometime. No barricades, no @DelhiPolice, no mobilisation of para military forces to stop these bigots & hatemongers? pic.twitter.com/mH9SBiGJyU
— Swati Singh (@itssinghswati) November 24, 2019
আজাদ বিনোদ বলেন, JNU এর দেশদ্রোহীরা প্রায় সময় আজাদী আজাদী বলে চিৎকার করে। তাই আমরা এদের আজাদী দিতে এসেছি। আফজাল বা আজমল, বুরহান বা মান্নানকে ভারতীয় সেনা চিরকালের জন্য আজাদী দিয়ে দিয়েছেন। এখন বাকি দেশদ্রোহীরাও যদি আজাদী চাই, তাহলে আমরা সেই আজাদী দিতে প্রস্তুত। আজাদ বিনোদ বলেন, আমরা এদের এমন আজাদী দেব যে আর পরে কখনো আজাদী চাইতে হবে না। স্বামী বিবেকানন্দের অপমানের প্রতিবাদে ডাকা এই গেরুয়া সভা যাত্রায় প্রায় ৫০০ জন হিন্দুত্ববাদী কার্যকর্তা উপস্থিত হয়েছিল।