আমেরিকা ও ইরানের মধ্যে যে যুদ্ধ পরিস্থিতি উৎপন্ন হয়েছে তা লাগাতার তীব্র হচ্ছে। পরিস্থিতি এতটাই ভয়ানক হয়ে উঠেছে যে টুইটারে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ ট্রেন্ড হতে শুরু হয়েছে। আমেরিকা ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেওয়ার তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা বাড়ছে। মার্কিন এয়ার স্ট্রাইকে ইরানের সামরিক কমান্ডার জেনারেল কাসিম সোলেমানি নিহত হয়েছেন। এ কারণে পুরো ইরান ক্ষুব্ধ, তারা বদলা নেওয়ার ঘোষণা করেছে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, ইরান যদি আমেরিকার বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেয়, তবে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকে এগিয়ে যেতে পরও। ইতিহাস সাক্ষী রয়েছে যে অতীতে, এ জাতীয় কিছু দ্বন্দ্বের কারণে বিশ্বযুদ্ধের আগুন জ্বলেছিল।
Red flags go up in mosques in Iran. The Green Zone is bombed and so is the base in Mosul.
Trump promises retaliation. It’s going to be a long night. pic.twitter.com/5IdKcYjnpV
— Major Gaurav Arya (Retd) (@majorgauravarya) January 4, 2020
আমেরিকার এয়ার স্ট্রাইকের পর ইরান বদলা নেওয়ার উদেশ্য নিয়ে মার্কিন দূতাবাসে আক্রমন করেছে। ইরান বাগদাদে থাকা আমেরিকার দূতাবাসে রকেট স্ট্রাইক করেছে। আমেরিকার এক সৈন্য ক্ষেত্রও এই আক্রমনের কবলে পড়েছে। যার পর আমেরিকা ও ইরানের সম্পর্ক আরো জটিল হয়ে পড়েছে। তবে আমেরিকা ও ইরানের মধ্যে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে ভারত নিউট্রাল থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এখন প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, ইরান (Iran) তাদের জামকারান মসজিদের (Jamkaran mosque) চূড়ায় লাল পতাকা উড়িয়ে আধিকারিকভাবে যুদ্ধের ঘোষণা করেছে। ইরান যুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাওয়ার একটা বড়ো ইঙ্গিত দিয়েছে। অন্যদিকে আমেরিকার তরফেও বড়ো বার্তা এসেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানে আক্রমন করার হুমকি দিয়েছেন। ট্রাম্প আরো বলেছেন মার্কিন সেনা ইরানের ৫২ টি স্থান চিহ্নিত করেছে। যদি ইরান বাড়াবাড়ি করে তাহলে বিধ্বংসী আক্রমন করা হবে।

আমেরিকা সতর্কবার্তা জানিয়ে বলেছে, ইরান যদি আমাদের কোনও নাগরিক বা আমাদের আমেরিকান সম্পত্তির উপর আক্রমণ করে তবে আমরা ইরানের ৫২ টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটিতে আক্রমন করবো। এর মধ্যে বেশ কিছু ঘাঁটি সাংস্কৃতিক দিক থেকে ইরানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমরা খুব শীঘ্রই এবং পুরো শক্তি দিয়ে আক্রমণ করব। আমেরিকা আর কোনও হুমকি চায় না।