কোনো স্থানে কট্টরপন্থীদের সংখ্যা বাড়লে সেখানে তথাকথিত সেকুলার হিন্দুদের কোনো জায়গা নেই তা বাংলাদেশ, কাশ্মীর বার বার প্রমান করে দিয়েছে। কাশ্মীর এক সময় বীর হিন্দুদের জন্য বিখ্যাত ছিল। তবে হিন্দুদের মনে অতি সেকুলারিজমের আধিপত্য বিস্তার ও কট্টরপন্থীদের সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে কাশ্মীরের ছবি পাল্টে গেছে।
উন্মাদীদের উপদ্রবে ১৯৯০ সালে কাশ্মীর থেকে হিন্দুদের পলায়ন শুরু হয়। হত্যা, ধর্ষণ, খুনের কারণে কাশ্মীর হিন্দু শূন্য হয়ে পড়ে। ওই সময় কট্টরপন্থীরা স্পষ্ট ঘোষণা করে যে হিন্দুদের কাশ্মীরে স্থান নেই। আর আজ অবধি কাশ্মীরে থাকা উন্মাদীদের মানসিকতা একই রয়েছে।
সম্প্রতি অনন্তনাগে হিন্দু পঞ্চায়েত প্রধান অজয় পণ্ডিতকে হত্যা করে একই ইঙ্গিত দিয়েছে কট্টরপন্থীরা। এখন কাশ্মীরে হিন্দুদের পুনঃস্থাপনের জন্য সরকার চেষ্টা করলেও কট্টরপন্থীরা হিন্দুদের কোনোভাবেই বাঁচতে দেবে না।
এমন পরিস্থিতিতে হিন্দুদের কাশ্মীর পুনঃস্থাপনের জন্য এক দুর্দান্ত প্ল্যান দিয়েছেন জম্মু কাশ্মীরের একজন প্রাক্তন পুলিশ প্রধান। প্রাক্তন ডিজিপি এসপি বৈদ্য হিন্দুদের অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দেওয়ার দাবিকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে কাশ্মীরে বসতি স্থাপনের আগে হিন্দুদের অস্ত্র সরবরাহ এবং প্রশিক্ষণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত একদম নিখুঁত সিধান্ত।
এসপি বৈদ্য কাশ্মীরে গ্রাম প্রতিরক্ষা কমিটি প্রতিষ্ঠার দাবি করেছেন। যে গ্রামগুলিতে হিন্দুদের বসতি গড়ে তোলা হবে সেখানে সেখানে কমিটি গঠন করা উচিত। এই কমিটির অস্ত্র থাকা উচিত যাতে তারা গ্রামটিকে রক্ষা করতে পারে।
Former J&K DGP @spvaid speaks to India Today's @sunilJbhat. He says that minority Hindus and vulnerable section of Muslims should be given arms training in the Kashmir valley for so that they can take on the terrorists. #ReporterDiary
Full video: https://t.co/VWN14CzcRn pic.twitter.com/o3pRwHub1C— IndiaToday (@IndiaToday) June 12, 2020
বৈদ্য জানিয়েছেন, হিন্দুদের বসতি বাচাতে নব্বই দশকে চেনাব উপত্যকায় হিন্দুদের অস্ত্র দেওয়া হয়েছিল। ফলে হিন্দুদের পলায়ন আটকানো সম্ভব হয়েছিল।