হায়দ্রাবাদের শামসাবাদের অঞ্চলে ডঃ প্রিয়াঙ্কা রেড্ডির পুড়ে যাওয়া শবদেহ মেলার পর থেকে দেশজুড়ে আক্রোশ সৃষ্টি হয়েছে। ২৬ বছর বয়সী প্রিয়াঙ্কা রেড্ডিকে ধর্ষণ করার পর পুড়িয়ে মারা হয়েছে বলে জানা গেছে। ঘটনায় মানুষের আক্রোশ চরম সীমায় পৌঁছে যাওয়ার পর পুলিশ তদন্তে নেমে ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। চার জনের মধ্যে মূল অভিযুক্তকে প্রথমেই গ্রেফতার করা হয়েছিল। মূল অভিযুক্ত এর নাম মহম্মদ পাশা, যাকে CCTV ফুটেজের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তবে প্রিয়াঙ্কা রেড্ডির ধর্ষণকাণ্ডের ঘটনা এখন নতুন মোড় নিয়েছে। আসলে প্রিয়াঙ্কা রেড্ডির (Priyanka Reddy) ধর্ষণকান্ড নিয়ে সুদর্শন নিউজের সম্পাদক সুরেশ চৌহানকে (Suresh Chavhanke) বড়ো বিবৃতি দিয়েছেন। সুরেশ চৌহানকে জানিয়েছেন, CCTV ফুটেজে যে দুজনকে দেখা গেছে তার মধ্যে একজন মহম্মদ পাশা ও তার সাথী। কিন্তু পুলিশ ওই দুজনকে ছাড়াও আরো দুজনকে গ্রেফতার করেছে। সুরেশ চৌহানকের দাবি অনুযায়ী, পুলিশ আসল অভিযুক্ত মহম্মদ পাশাকে বাঁচানোর চেষ্টা চলছে এবং কিছু হিন্দুদের ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে।
চৌহানকে বলেছেন, পুলিশ এখন ঘটনাটির ব্যালান্স করতে নেমে পড়েছে। হায়দ্রাবাদের দুই ওয়েসি ভাইয়ের ইশারায় এমন কর্মকান্ড চলছে। সুরেশ চৌহানকে হায়দ্রাবাদ থেকে আগত দেশের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিশন রেড্ডির কাছে এই মামলার তদন্তের দাবি জানিয়েছে। প্রসঙ্গত জানিয়ে দি, এই ঘটনায় কাল সন্ধ্যে থেকেই ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। গতকাল সন্ধ্যে বেলা তেলেঙ্গানার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেহমুদ আলী প্রিয়াঙ্কা রেড্ডির ধর্ষণকাণ্ডের দায় পাল্টা প্রিয়াঙ্কা রেড্ডির উপরেই চাপিয়ে দিয়েছিলেন।
.@hydcitypolice ने मोहम्मद के बाद बैलेंस करने के लिए #Priyankareddy की हत्या में दो हिंदुओं को ज़बरन फँसाया है? या ये #Owaisi के दबाव में किया? इसकी जाँच की मैं माँग करता हूँ. इसकी आशंका कुछ ही समय पहले मैंने सार्वजनिक रूप से जतायी थी @kishanreddybjp #JusticeForPriyankaReddy pic.twitter.com/6VGQyCGrPX
— Suresh Chavhanke “Sudarshan News” (@SureshChavhanke) November 29, 2019
অভিযুক্তদের সাজা দেওয়া উপর বিবৃতি না দিয়ে মেহমুদ আলী বলেছিলেন এই ঘটনার জন্য প্রিয়াঙ্কা রেড্ডি নিজেই দায়ী মেহেমুদ আলী বলেন, প্রিয়াঙ্কা তার বোনকে কেন ফোন করেছিল? কেন সে ১০০ ডায়াল করেনি? ইত্যাদি ইত্যাদি। সুদর্শন চ্যানেলের সাংবাদিক বলেছেন হায়দ্রাবাদে ওয়েসির দুই ভাইয়ের প্রভাব খুব বেশি। আর তাদের ইশারায় পুলিশ কাজ করে। এখন ওয়েসীর ভাইদের ইশারাতেই হিন্দু যুবকদের ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে।