“শুধু শিশু ধরলে চলবে না, অ্যাডাল্টগুলোকেও ধরতে হবে”- মোদী বিরোধী কট্টরপন্থীদের একহাতে নিলেন তসলিমা নাসরিন
প্রধানমন্ত্রী মোদীর বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে বেশকিছু স্থানে বিক্ষোভ দেখিয়েছে মোদী বিরোধীরা। ঢাকা ইউনিভার্সিটি থেকে শুরু করে ঢাকার মতিঝিল শাপলাচত্বর এলকায় মোদী বিরোধী বিক্ষোভ ক্যামেরা বন্দি হয়েছে। যেখানে মোদী বিরোধিরা নরেন্দ্র মোদীর কুশপুতুল পুড়িয়েছে ও শ্লোগানবাজি করেছে। যদিও বাংলাদেশের পুলিশ এসমস্ত উপদ্রবের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার দিন ঢাকার মতিঝিল শাপলাচত্বর এলকায় বিক্ষোভের সময় পুলিশের হাতে শিশু বক্তা রফিকুল ইসলাম মাদানী গ্রেফতার হয়েছেন। জানিয়ে দি, শারীরিক আকৃতি ছোটো হওয়ার কারণে রফিকুল ইসলাম মাদানী বাংলাদেশে শিশুবক্তা নামেই পরিচিত। রফিকুল ইসলাম মূলত বাংলাদেশে ইসলামের বিষয়ে বক্তব্য রাখেন।
তবে ধার্মিক জ্ঞান দিতে দিতে সম্প্রতি আন্তর্জাতিক ইস্যুতেও লোকজনকে উস্কানি দিতে দেখা রফিকুল মাদানীকে। মোদী বিরোধী বিক্ষোভে রফিকুল ইসলাম সহ আরো ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদিকে বিক্ষোভকারীদের ইট, পাথর ছোড়ার দরুন বেশকিছু পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কট্টরপন্থীদের এই উপদ্রবের ইস্যুতে বিবৃতি দিয়ে বিশিষ্ট লেখিকা তসলিমা নাসরিন। লেখিকা সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে পোস্ট করে শিশু হুজুরের সাথে সাথে অন্যান্য বাকি কট্টরপন্থীদেরও গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। তসলিমা নাসরিন লিখেছেন, “এক শয়তান শিশুবক্তাকে রাস্তায় দাঙ্গা করার অপরাধে পুলিশ ভ্যানে উঠিয়েছে। কিন্তু পুলিশও ওই শিশুর ভক্ত। তাই ভ্যানের ভেতরেই তাকে সুযোগ দিয়েছে জনগণের উদ্দেশে বক্তব্য পেশ করার, সেই বক্তব্য ফেসবুকে আপলোড করার। থানায় হয়তো তার ওয়াজের ব্যবস্থা করা হবে কে জানে। কেবল শিশুধরা হলেই চলবে? অ্যাডাল্টগুলোকে ধরতে হবে তো! যারা এরকম লক্ষ শিশু জন্ম দিয়েছে।”
আরেক পোস্টে তসলিমা নাসরিন লিখেছেন, “বাংলাদেশি মোল্লাদের মিছিল হলো ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের বিরুদ্ধে। এই মোল্লারা শেখ হাসিনার পুত্র পৌত্র । ননীটা ছানাটা খাইয়ে এদের তিনি বড় করেছেন।
চার লাখ মোল্লার জমায়েত দেখেছিলাম ১৯৯৪ সালের ২৯ জুলাই তারিখে। ওরা ছিল বিএনপি-জামাতের সন্তান সন্ততি। ওদের চেয়ে আকারে আকৃতিতে, হিংস্রতায় নৃশংসতায় চতুরতায় এরা দ্বিগুণ। এক পাল হিন্দুবিদ্বেষী, বৌদ্ধ-খ্রিস্টানবিদ্বেষী, প্রগতিবিদ্বেষী, বিজ্ঞানবিদ্বেষী, নারীবিদ্বেষী, ধর্ষক-সমর্থক অজ্ঞ মূর্খ সাম্প্রদায়িক লোক অন্যকে সাম্প্রদায়িক বলে গালি দিচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গে মমতা ব্যানার্জি যাদের ”পুষতেন”, তারা অন্য দলে ভিড়েছে। বাংলাদেশে শেখ হাসিনা যাদের ”পুষছেন”, তারা কিন্তু সময় সময় দেখিয়ে দিচ্ছে তারাও হাসিনার ঘাড় মটকে খাওয়ার ক্ষমতা রাখে।”