বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (UGC) ভারতের কেন্দ্র সরকার দ্বারা স্থাপিত সংস্থা। যা বিশ্ব
বিদ্যালয়গুলিতে প্রদানকরা সমস্তু উচ্চশিক্ষার সাথে সম্পর্কিত। সম্প্রতি UGC বিএ ইতিহাস পাঠ্যক্রমের একটা ড্রাফট প্ৰকাশিত করেছে। যা সামনে আসার পর থেকে তথাকথিত বুদ্ধিজীবী মহলে এবং কট্টরপন্থী নেতাদের মধ্যে হাহাকার ছড়িয়ে পড়েছে।
UGC এর দ্বারা প্রকাশিত ড্রাফট দেখার পর আসাউদ্দিন ওয়েসী সহ বেশকিছু নেতা দরুনভাবে ব্যাথিত হয়েছেন। বিএ ইতিহাসের প্রথম পেপার ‘আইডিয়া অফ ভারত’ এর অবলম্বনে তৈরি করা হয়েছে। যেখানে ভারতীয় জ্ঞানের ঐতিহ্য, শিল্প কলা, অর্থনীতি ইত্যাদি বিষয়ে বলা হয়েছে। একই সাথে বেদ, উপনিষদ, ভারতীয় সংখ্যা, গণিত, জৈন, বৌদ্ধ সাহিত্য ইত্যাদিও রয়েছে।
ড্রাফটে বলা হয়েছে , এই পাঠ্যক্রমের দ্বারা ছাত্ররা প্রাচীন ভারতের মানুষের সাধারণ জীবন, ধৰ্ম জীবন, অর্থনীতি, রাজনীতির সম্পর্কে জ্ঞানলাভ করতে পারবে। একই সাথে ভারতে হওয়া লাগাতার সামাজিক ও সংস্কৃতিক পরিবর্তনকেও ছাত্ররা অধ্যয়ন করতে পারবে। লক্ষণীয় বিষয় যে, এই পাঠ্যক্রম ইংরেজ ও পরে বামপন্থীদের দ্বারা উৎপন্ন করা হিন্দুদের মধ্যে ভেদাভেদ সৃষ্টিকারী থিওয়রীগুলিকে ধূলিসাৎ করবে। অর্থাৎ আগামী কয়েক দশকে যে ব্যাপক হারে ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে তা অনেকটা প্রশমিত করতে সাহায্য করবে।
ভারতে পড়ানো ইতিহাস পাঠ্যক্রমে বাবর, তৈমুর লং এর মতো উন্মাদীদের আক্রমণকারী তকমা না দিয়ে সম্রাট বলে সম্বোধন করা হয়। তবে UGC তার ড্রাফটে বিদেশী আক্রমনকারীদের ‘আক্রমনকারী’ শব্দ দিয়েই ব্যাখ্যা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতের পাঠ্যক্রমে এমন দুর্দান্ত সংশোধনের খবর সামনে আসার পর বুদ্ধিজীবী মহলে ও বেশকিছু রাজনীতিবিদদের মধ্যে হাহাকার ছড়িয়েছে। আসাউদ্দিন ওয়েসী এই ড্রাফটের বিষয়ে বলেছেন , বিজেপি তাদের হিন্দুত্ব বিচারধারাকে পড়াশোনার মধ্যে সম্মিলিত করছে।
ওয়েসী আরো বলেন, শিক্ষা কখনো প্রোপাগান্ডা হতে পারে না। ধার্মিক শিক্ষা, পৌরাণিক কাহিনী পোড়ানোর জন্য আলাদা বিভাগ থাকে তবে সেটা ইতিহাসের মধ্যে হতে পারে না। বামপন্থী নিউজ পোর্টাল টেলিগ্রাফ বেশকিছু ছাত্র ও শিক্ষকের বক্তব্য প্রকাশিত করেছে। যেখানে এই ড্রাফটে মুসলিম শাসনকালের গুরুত্বকে বিলুপ্ত করা হচ্ছে বলে সমালোচনা করা হয়েছে।