ওয়েবডেস্কঃ আমেরিকার (America) আর চীনের (China) মধ্যে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে, ট্রাম্প সরকার এই উত্তেজনার মধ্যে একটি বড় পদক্ষেপ নিয়ে চীনকে হিউস্টন (Houston Consulate) থেকে তাঁদের মহাবাণিজ্য দূতাবাস ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধ করার আদেশ জারি করেছে। আমেরিকার এই আদেশের পর থেকেই দূতাবাসের ভিতর থেকে ধুয়া উঠতে দেখা যায়, প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, চীনের আধিকারিকরা গোপনীয় কাগজপত্র পুড়িয়ে দিয়েছে। আরেকদিকে, আমেরিকার এই পদক্ষেপের পর চীনও ক্ষেপে গেছে। তাঁরা আমেরিকার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় অ্যাকশন নেওয়ার হুমকি দিয়েছে।
#BREAKING Beijing says US ordered it to close Chinese consulate in Houston pic.twitter.com/jM0ymvYDdw
— AFP news agency (@AFP) July 22, 2020
নিউ ইউর্ক টাইমসের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, হিউস্টন পুলিশ বাণিজ্য দূতাবাসের পাশে পৌঁছেছে, কিন্তু কূটনৈতিক আধিকারের কারণে ভিতরে প্রবেশ করতে পারছে না। পুলিশ জানায় যে, আশেপাশের মানুষ দূতাবাস থেকে ধুয়া উঠতে দেখে পুলিশে খবর দিয়েছে। কিন্তু চীনের আধিকারিকরা তাঁদের ভিতরে ঢুকতে দিচ্ছে না। কোল্ড ওয়ারের পর এটা প্রথম হল যে, আমেরিকা এরকম ভাবে কোন দূতাবাস বন্ধ করার আদেশ জারি করল। শোনা যাচ্ছে যে, আমেরিকা চীনের সাথে জারি বিবাদের কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
#UPDATE The United States has ordered China to close its Houston consulate, Beijing said Wednesday, in what it called a "political provocation" that will further harm diplomatic relations
— AFP news agency (@AFP) July 22, 2020
এত কম সময়ে মহাবাণিজ্য দূতাবাস খালি করার আদেশের পর চীনের আধিকারিকদের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়ায়। আমেরিকার আদেশের পর চীনের দূতাবাসে মধ্যে উত্তেজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। আর আমেরিকার এই ফরমানের পর চীনের আধিকারিকরা সমস্ত গোপনীয় কাগজপত্র জ্বালিয়ে দেয়। কর্মচারীদের কাগজপত্র জ্বালানোর অনেক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়া ভাইরাল হচ্ছে।
NEW VIDEO: Documents, other materials appear to be burned in courtyard of Consulate General of China in Houston, Texas; police and fire responded but its unclear it they entered property
— Breaking911 (@Breaking911) July 22, 2020
আরেকদিকে, চীনের বিদেশ মন্ত্রালয় আমেরিকার এই পদক্ষেপের নিন্দা করে বলেছে যে, আমেরিকা যদি এই ভুল নির্দেশকে ফেরত না নেয়, তাহলে তাঁরাও একটি বড়সড় পদক্ষেপ নেবে। জানিয়ে দিইন, আগুন দেখে হিউস্টিন ফায়ার ডিপার্টমেন্টের গাড়ি সেখানে পৌঁছায়, কিন্তু তাঁদেরও দূতাবাসের ভিতরে যেতে দেওয়া হয় না। আমেরিকার এই পদক্ষেপের পর চীনের সাথে তাঁদের সম্পর্ক যে আরও খারাপ হল, সেটা বলাই বাহুল্য।