৭৮ বছর আগে নেতাজি নিয়েছিলেন দূরদর্শী পদক্ষেপ! যার জন্য আজও ভারতকে ভয় পায় চীন
নেতাজির গুরুত্ব কি তা কোনোভাবেই ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। তা সত্ত্বেও আন্তর্জাতিক স্তরে বার বার উনার দ্বারা করে যাওয়া কাজের প্রসঙ্গ উঠেই আসে। জমি মাফিয়া চীনের উপদ্রবের কারণে আরো একবার বিশ্বজুড়ে যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। চীন ভারত ও জাপানের মতো শান্তিপূর্ণ দেশগুলির জমি গিলে নেওয়ার চেষ্টা করার সাথে সাথে অনেক ছোটো প্রতিবেশী দেশকেও নিজের বশ্যতা স্বীকার করানোর তাগিতে নেমে পড়েছে। পরিস্থিতি এমন যে আন্তর্জাতিক মিডিয়াতেও বিভিন্ন দেশের সাথে চীনের সামরিক শক্তির তুলনা হচ্ছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে ভারত ও চীনের সামরিক শক্তির তুলনা, যুদ্ধের অভিজ্ঞতা, জনগণের দেশপ্রেম, যুদ্ধের জন্য সামুদ্রিক অনুকূল পরিবেশ ইত্যাদি নিয়ে জোর চর্চা চলছে।
প্রসঙ্গত জানিয়ে দি, বর্তমান সময়ে যুদ্ধে জয়ী হতে গেলে সামুদ্রিক ক্ষেত্রে শক্তিশালী হওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। ভারতীয়দের সৌভাগ্য এই যে সামুদ্রিক দিক থেকে ভারত বেশ শক্তিশালী এবং চীনকে মাত দিতে যথেষ্ট সক্ষম। চীনের মেরুদন্ড ভাঙার জন্য ভরপুর সুযোগ ভারতীয় নৌসেনার কাছে রয়েছে। চীন কেন নেতাজির (Subhas Chandra Bose) সিধান্তের কারণে ভারতকে ভয় পায় তা আমরা আজ India Rag এর পাঠকদের জানাবো। সামুদ্রিক ক্ষেত্রে এমন শক্তিশালী হওয়ার পেছনে একটা মূল কারণ ভারতের আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ।
জানিয়ে দি, অখন্ড ভারতের প্রধানমন্ত্রী নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু জাপানি সেনাদের সাহায্যে এই দ্বীপপুঞ্জকে ইংরেজদের হাত থেকে ছিনিয়ে এনেছিলেন। আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ প্রাচীন সময়ে ভারতের চোল সাম্রাজ্যের অংশ ছিল পরে পর্তুগিজরা এই দ্বীপে আধিপত্য করেছিল। এরপর ভারতের মারাঠা সাম্রাজ্য আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জকে নৌসেনার বেস ক্যাম্প করেছিল।
জানিয়ে দি, অখন্ড ভারতের প্রধানমন্ত্রী নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এই দ্বীপপুঞ্জকে ইংরেজদের হাত থেকে ছিনিয়ে এনেছিলেন। আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ প্রাচীন সময়ে ভারতের চোল সাম্রাজ্যের অংশ ছিল পরে পর্তুগিজরা এই দ্বীপে আধিপত্য করেছিল। এরপর ভারতের মারাঠা সাম্রাজ্য আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জকে নৌসেনার বেস ক্যাম্প করেছিল।
এরপর ইংরেজরা আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ দখল করে। যারপর ৩০ ডিসেম্বর ১৯৪৩ সালে ভারতের আজাদ হিন্দ সরকার ইংরেজদের সাম্রাজ্য উপড়ে ফেলে আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ভারতের পতাকা উড়িয়ে দেয়। চীন এই আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কারণেই সামুদ্রিক এলাকায় ভারতকে ভয় পায়। চীন স্টেট অফ মালাক্কা দিয়ে নিজের ৮০% সামগ্রী আমদানি রপ্তানি করে।
আন্দামান নিকোবর ভারতের অংশ হওয়ায় ভারত চীনের জাহাজে আটকে দেওয়ার সুযোগ যেকোনো সময় তুলতে পারে। ফলস্বরূপ চীনে হাহাকার হওয়ার সম্ভবনা উৎপন্ন হতে বেশি দেরি লাগবে না। জানিয়ে দি, ১৯৬২ সালেও ভারত এই সুযোগকে কাজে লাগাতে পারতো কিন্তু ভারত সরকারের দক্ষ নেতৃত্বের অভাবে তা হয়ে উঠেনি।