দেশের রাজধানী দিল্লীর (Delhi) ঝাঁসির রানী রোডের আনাজ মান্ডি (Anaj Mandi) এলাকায় রবিবার সকালে বিধ্বংসী আগুন লাগে, সেই আগুনে কমপক্ষে ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর এক ডজনের বেশি মানুষ আহত হয়েছে। এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) এবং রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ (Ramnath Kovind)। একটি ব্যাগ বানানো কারখানা থেকে এই আগুন লাগে এরপর আশেপাশের অন্য দুটি বিল্ডিংয়ে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনায় মৃত বেশিরভাগ মানুষই মজদুর শ্রেণীর ছিলেন, আর তাঁরা ঘুমন্ত অবস্থায় দম বন্ধ হয়ে মারা যান। ঘটনার খবর পাওয়ার পর ফায়ার ব্রিগেড তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় আর অনেক সংগ্রামের পর ছোট গলির মধ্যে দিয়ে আহতদের কাঁধে করে বের করা হয়।
অগ্নিকাণ্ডের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ওই ভিডিওতে ফায়ার ফাইটার আহতদের নিজের কাঁধে করে ছোট গলি থেকে মুখ্য রাস্তার দিকে নিয়ে আসতে দেখা যাচ্ছে। ঘটনাস্থলে অ্যাম্বুলেন্সের ব্যাবস্থা না থাকায় আহতদের অটো রিকশা করে দিল্লীর আনন-ফানন হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। যদিও আমরা এই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করিনি।
দমকল বিভাগ জানায়, বাজারে আগুন লাগার ঘটনা সকাল ৫ঃ২২ নাগাদ তাঁদের দেওয়া হয়। এরপর ২৫ টি দমকলের ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। আগুন লাগার কারণ এখনো জানা যায়নি, কিন্তু আধিকারিকেরা জানান যে, শর্ট সার্কিটের কারণে আগুন লাগতে পারে। ঘটনার পর এখনো পর্যন্ত ৬৫ জনের বেশিকে সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। আর তাঁদের লোক নায়ক জয় প্রকাশ নারায়ন হাসপাতাল আর লেডি হোর্ডিং হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
More than 35 people succumbed to death in #FireAccident at Anaj Mandi, Central Delhi
While the injured need to be transported in local Autos, can’t CM Arvind Kejriwal provide enough ambulances? Disappointing #DelhiFire #AnajMandi #Delhi pic.twitter.com/p5i2S0NQWa
— Geetika Swami (@SwamiGeetika) December 8, 2019
শোনা যাচ্ছে যে, এই অগ্নিকান্ড দিল্লীতে আগুন লাগার সবথেকে বড় ঘটনার মধ্যে একটি। এর আগে ১৩ই জুন ১৯৯৭ সালে দক্ষিণ দিল্লীর গ্রিন পার্ক এলাকার উপহার সিনেমায় এরকম ঘটনা ঘটেছিল, ওই অগ্নিকান্ডে ৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল আর ১০০ এর বেশি মানুষ আহত হয়েছিলেন।